পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিগত সপ্তাহে করোনায় মৃতের সংখ্যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৯৮ জন (৪১ শতাংশ) কমেছে। দেশে গত সপ্তাহে ৬৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান। তারপরও বলবো এটাই স্বস্তিদায়ক পরিসংখ্যান।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এসব কথা বলেন অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি গত সপ্তাহে দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া এবং মারা যাওয়ার পরিসংখ্যান বুলেটিনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত সপ্তাহে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯১টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ কম। পরীক্ষা কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৬৮৮ জন, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬ হাজার ৮৮০ জন কম। সামগ্রিকভাবে দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহ ধরে। তিনি বলেন, সর্বশেষ ৩১ আগস্ট শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ শতাংশের খানিকটা নিচে আমরা অবস্থান করছি।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্ত নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে যাচ্ছে। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যেখানে রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৭ জন। জুলাই মাসে সেখানে রোগী সংখ্যা হয় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। তবে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আগস্ট মাসে নতুন শনাক্ত কমে এসেছে। আগস্টে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে জেলা ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম। নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে। এরপর রয়েছে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা, তারপর মারা গেছেন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কোভিড হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা যাবে। গতকাল স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সাধারণ হাসপাতালের পাশাপাশি কোভিড হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর ৬ হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ঘোষণা করেছে। অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিটফোর্ড, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, আমিন বাজার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, কামরাঙ্গীচর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তি করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।