পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন। গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। পরে তার আইনজীবীরা এ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। ওইদিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমণিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমণি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। এদিকে, শুনানির শুরুতে পরীমণির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বলেন, আসামি পরীমণিকে সাত দিনের রিমান্ডে অলরেডি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রিমান্ডে নেয়ার পরও কোনও তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। রিমান্ডে থাকার কারণে পরীমণির অবস্থা অবনতির দিকে গেছে। তিনি শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরীমণি কারাগারে থাকার কারণে তার অনেক (সিনেমার) কাজ বন্ধ হয়ে আছে দাবি করে আইনজীবী বলেন, তিনি অনেক সিনেমার কাজ করেছেন। কারাগারে থাকার কারণে প্রীতিলতা নামের একটি সিনেমায় কাজ করতে পারছেন না। তিনি একজন নারী, তিনি জামিন পেতে পারেন। এ ছাড়া আসামি যদি নারী, শিশু অথবা বিকলাঙ্গ হয় তাহলে আদালত জামিন দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে ও বিদেশে তার অনেক ছবির কাজ চলছে উল্লেখ করে তাকে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না দাবি করেন তার আইনজীবী। মজিবুর রহমান বলেন, এ মামলার যে ধারা তাতে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর। সেক্ষেত্রে আসামি অবশ্যই জামিন পেতে পারেন। আমরা জামিনের আবেদন করছি।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, পরীমণির বাসায় মাদকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে মাদক খুবই ভয়াবহভাবে বাংলাদেশে বিস্তার করেছে। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় তাকে জামিন দেয়া ঠিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ নারী কিংবা পুরুষ দেখে না। যে অপরাধ করবে তার শাস্তি হবে। তার বাসা থেকে ১৮ লিটার মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর কোনও লাইসেন্স নেই। এছাড়াও তার বাসা থেকে আইস এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছে। এই মামলাটি তদন্তের মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই আসামির জামিনের আবেদন বাতিল করা হোক। তাছাড়া আসামি জামিন পেলে পলাতক হয়ে যেতে পারেন। এরপর দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নারী, অভিনেত্রী ও অসুস্থতা বিবেচনায় পরীমণির জামিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিননামা দাখিল করেছেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা পরীমণির জামিননামা দাখিল করেছি। তবে জামিননামা দাখিলের পর কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো চলছে। সেই প্রক্রিয়াগুলো শেষ হলে জামিন নামাটি প্রথমে কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) যাবে। সেখান থেকে সেটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছাবে। তারপর তিনি মুক্তি পাবেন। তবে আজকে (গতকাল) তার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজ বুধবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, জামিন পাওয়া একটা অধিকার। তবে আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই আদেশ দিয়েছেন। এতে আমাদের কিছু করার নেই।
এদিকে, কারাগার থেকে মুক্তির বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার হালিমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি ইনকিলাবকে বলেন, রাতে জামিনের কাগজপত্র আমাদের কাছে আসবে। আজ (বুধবার) সকালের দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।