পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহŸান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে ততটুকু শ্রদ্ধা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করবেন। জিয়াউর রহমান সেখানে আছে থাকতে দেন। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার লুই আইকানের নকশা, এটা কোরআনের বাণী নয়। লুই আইকানের নকশায় মেট্রোরেল ছিল? এখন কি তাহলে মেট্রোরেল তুলে নিয়ে যাবেন? তমিজ উদ্দিন সাহেবের কবর তুলে নিয়ে যাবেন? তমিজ উদ্দিন সাহেবের কোনো অবদান নেই? পাশে যে বাড়িঘর হচ্ছে তা কি লুই আইকানের নকশায় ছিল? অকারণে ধাপ্পাবাজি করবেন না। গতকাল মঙ্গলবার ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সাংবাদিকদের ভ‚মিকা’ নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, ৩১ আগস্ট দিনটি খুবই গুরত্বপূর্ণ দিন। পৃথিবীতে একটা অঘটন ঘটে গেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পুঁজিবাদী দেশ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আফগান জনগণের কাছে পরাজয় হয়েছে। তারা লেজ গুটিয়ে আফগানিস্তান থেকে চলে গেছে। ঠিক ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভিয়েতনাম থেকে পলিয়ে এসেছিলেন। আফগানিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা তালেবানদের কাছে তারা পরাজিত। তবে তালেবানদের অন্ধক‚পে গেলে চলবে না। আধুনিক জগতে ফিরে আসতে হবে। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে এখন রাজনীতি নেই। আমরা কবর নিয়েও রাজনীতির করার চেষ্টা করছি। পাগল হয়ে গেছি আমরা, উন্মাদ হয়ে গেছি। অর্বাচীনের মত বক্তব্য দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। ডিএনএ টেস্ট করতে হলে তো অনেকের ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। অকারণে এসব বিতর্কে যাওয়া উচিত না। এটা অন্যায়, বেকুবের কাজ হবে। এটা পাগলামী ছাড়া আর কিছু না, অবান্তর।
বাংলাদেশ গণতন্ত্রের লজ্জাজনক অবস্থায় চলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে কথা বলতে দিতে হবে। এই কথা বলবে সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের হাত-পা ছেড়ে দিতে হবে। আমরা একটা মুক্ত স্বাধীন দেশ চাই। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনার আয়ু শেষ হয়ে গেছে। এই দায়িত্ব শেখ রেহানার হাতে দিয়ে দেন। তোফায়েলকে দেন। জাতীয় সরকার করেন। ডা. কামাল হোসেনকে ডাকেন, মাহামুদুর রহমান মান্নাকে ডাকেন। আপনি বিশ্ব রাজনীতিতে অবদান রাখেন। রোহিঙ্গা সমস্যা আপনি এনেছেন। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আপনার। এজন্য তুরস্কে যান, ইরানে যান, পাকিস্তানে যান। পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য অনেকে সমালোচনা করবে। পাকিস্তানের বুকে দাঁড়িয়ে বলেন, তোমরা ’৭১ সালে যে অন্যায় করেছ তার জন্য ক্ষমা চাও। পাবলিকলি আমাদের জনগণের কাছে ক্ষমা চাও। ক্ষমা চাওয়ার পর তোমাদেরকে আমরা ভাই হিসাবে মেনে নেব। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কিছু হবে না।
তারেক রহমানের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি ওই দেশে (যুক্তরাজ্য) থাকেন। ব্যারিস্টার জাইমাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। খালেদা জিয়া এখানো জেলে আছেন। ওনার জামিন নেই। ফিরোজায় থাকার চেয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের জেলে থাকা বেটার। তাকে দিয়েই বিএনপির ভবিষ্যৎ। রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সংগঠনের সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহŸায়ক শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।