পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদক সম্রাট নাম আড়াল করতে করোনায় মৃতদের লাশ দাফন করাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামী লিটন সরকার। কখনও নিজকে পরিচয় দেন সরকার মো. লিটন (আবরার) নামে। নিজেকে সমাজসেবক হিসাবে পরিচয় দিলেও লিটনকে নিজ এলাকায় আরেক ‘শাহেদ’ নামেও ডাকেন অনেকে। নিজের অন্যায়কে ঢাকতে করোনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার কারণে মূলত এই নাম পড়েছে তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিটন নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসাবে পরিচয় দিলেও কোনো পদ-পদবি নেই। উল্টো তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের হেনস্থা এবং আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর, হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। লিটনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, মারাত্মক কাঁটা যখম, আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর, নেতাদের উপর হামলা, হাত ও পা ভেঙ্গে দেওয়ার মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ দেবিদ্বার ও চান্দিনার মানুষ। বাগুর ও চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে দৈনিক এক লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে। সন্ধ্যার পর বাগুরস্থ তার নিজস্ব কার্যালয়ে দৈনিক উত্তোলিত চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করার পর বসে মাদকের আসর।
নিজেকে মাদকবিরোধী দাবি করলেও মূলত তার বিরুদ্ধেই রয়েছে মাদকের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ। তার আপন চাচাতো ভাই রুবেল সরকারকে দিয়ে সে চালাতো মাদক ব্যবসা। ২০১৯ সালের ৯ জুন পাঁচ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র সহকারে র্যাবের অভিযানে ক্রসফায়ারে নিহত হন রুবেল সরকার ওরফে বোতল রুবেল। তার অপর চাচাতো ভাই সাদ্দাম সরকার ২০১৭ সালে মাদক মামলায় পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও আরেক চাচাতো ভাই এমরান সরকার ২০২০ সালের ১৯ জুলাই ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হন।
কথিত এই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে দেবিদ্বার উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মীর্জা বাহাদুর (৪৬), আবু ছালাম ওরফে বাচন মিয়ার স্ত্রী আসমা বেগম (২৪) দেবিদ্বার থানায় চাঁদবাজীর মামলা করেন। একই উপজেলার খাদঘর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫) ছিনতাই ও ডাকাতি ও মারাত্মক কাঁটা যখম এর মামলা করেছেন। মামলা নং- ০৬ তাং ১/৬/১৮।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর হামলা ও মারধর এবং ১৫নং বরকামতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় লিটন সরকার এর বিরুদ্ধে একই উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত ময়নাল হোসেন মাষ্টারের ছেলে মিজানুর রহমান ও বরকামতা গ্রামে মৃত হরিদাস পাললের ছেলে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক, বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাপ চন্দ্র পাল (৬০) এবং ব্রাক্ষনখাড়া গ্রামের মাহবুব আলম এর স্ত্রী মানছুরা আক্তার (৩৬) কুমিল্লা সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিঃ এর ৪ নং আমলি আদালতে মামলা করেন। মামলা নং যথাক্রমে সি,আর ৪৪/১৬ ও ২৩১/১৮ এবং ২২৮/১৮।
লিটন সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটিতে সংবাদ সন্মেলন করার কারণে প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদকে লাঞ্ছিত করা এবং দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুর রহমান বাবুল এর উপর হামলা, হাত ও পা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে লিটন সরকারকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। রানা/শব্দ-৪২৪
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।