Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি

৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ২:০৩ পিএম

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার ২শ৫০টি চর-দ্বীপচরের নদী সংলগ্ন গ্রাম গুলির মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ৩০টি ইউনিয়নে পানি বন্দী আছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৭ সে.মি আর ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৩৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা,দুধকুমোর,গঙ্গাধর সহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। পানি বন্দী মানুষরা খাদ্র সংকটে পড়েছে। তাদের বাড়ীর টিউবয়েল গুলো তলিয়ে যাওয়ায় পানির সংকটেও পড়েছে এসব মানুষ। অনেকে নদীর পানি পান করছে। অনেকে তাদের ঘরবাড়ী ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অথবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। চর-দ্বীপ চরের গ্রামীণ সড়ক গুলি পানিতে ডুকে থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক এলাকায় নৌকা ও ভেলা না থাকায় মানুষজন ঘরে এক প্রকার বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু গুলিও চরম খাদ্য কষ্টে পড়েছে। গো চারন ভুমি গুলি পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। ৫ দিন থেকে জেলার ১৫হাজার ১১৫হেক্টর রোপা আমন,বীজতলা-৯০হেক্টরসহ শাক-সবজি-২৭০হেক্টর তলিয়ে গেছে। এছাড়াও শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যায় ভেসে গেছে।
জেলা ত্রান ও পূনবার্সন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে বন্যার্তদের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ২শ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ২৬.৭৭ সে.মি,ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৪.০৬ সে.মি, তিস্তা নদীর পানি ২৮.৯৫ সেন্টিমিটার, আর ব্রক্ষপুত্র নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৬.২৮ সে.মি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ