Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাগুরার মহম্মদপুরের চরপাচুড়িয়া সড়ক নদীগর্ভে, চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:২৩ পিএম

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরপাচুড়িয়া গ্রামের মধুমতি নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কটির দুইশ’ গজ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি দুই কিলোমিটার রাস্তায় একহাটু কাদা। প্রতিদিন নানা কাজে প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীর উপজেলা শহরে দুইশ’গজ সড়কে হাটু থেকে কোমর পানি ও দুই কিলোমিটার রাস্তায় ভয়াবহ কাদা মাড়িয়ে চলতে হয়। বিকল্প কোনো সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় চড়পাচুড়িয়া গ্রামের সাড়ে তিন হাজার লোক ও আশপাশের আরও তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিরুপায় হয়ে এই পথ দিয়ে চলতে হয়। এ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার বা পাকাকরণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।এই সড়ক দিয়ে চর পাচুড়িয়াসহ ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার চরনারানদিয়া,রায়পাশা ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন।

এলাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহহম্মদপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এ গ্রামটির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার সাথে বিরোধ ছিলো। প্রায় দুই বছর আগে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। সীমানা বিরোধের কারণে এখানে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যায়নি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত মধুমতি নদী পাড়ের চর পাচুড়িয়া গ্রামটিতে নুন্যতম কোনো নাগরিক সুবিধা নেই।

অনেকেই বলেন উপজেলা সদরে বাস করে চরম অবহেলিত। এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার।উপজেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য। নানা কাজে উপজেলা শহরে যেতে হয় পানি ও কাদা মাড়িয়ে। এলাকার বাসিন্দা নুরল ইসলাম বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলোনা, কিছু অংশে বিদ্যুৎ আসলেও রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সাথে আছে মধুমতির ভাঙন। ভাঙনে বিস্ত্রীর্ণ ফশলি জমি ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। অরিন ও সুমি মহম্মদপুর উপজেলা সদরের একটি স্কুলের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তারা জানান, স্কুল কলেজ অফিস সব মহম্মদপুর উপজেলা সদরে। কোমর পানিতে কাপড় ভিজিয়ে যাতায়াত করতে হয়।গায়ের কাপড় গায়েই শুকাতে হয়।

আরশাদ মোল্যা ননামে এক ব্যক্তি জানান,রাস্তাঘাট নেই বলে তাদের গ্রামে কোনো ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয় না। মানুষ এই গ্রামে কোনো আত্মিয়তা করা যায় না। আত্মীয় স্বজন বিপদে না পড়লে বেড়াতে আসেন না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়।রাস্তা না থাকায় কোনো যানবাহন চলেনা। ঘাড়ে করে হাসপাতালে নিতে হয় রোগীকে।

ফায়ার সার্ভিস আসতে না পারায় ঘর বাড়ী পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, সদর ইউনিয়নের এক নম্বর মৌজায় চর পাচুড়িয়া গ্রাম অবস্থিত। দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা বিরোধ থাকায় এথানে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যায়নি। এবার সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পর এস এ রেকর্ড সম্পন্ন হয়েছে। এখন উন্নয়নে প্রকল্প নিতে আর বাঁধা নেই। সম্প্রতি বালীভর্তি বস্তা ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চর পাচুড়িয়া বাসীর সমস্যা সমাধানে দ্রুত সম্ভব অগ্রাধীকার প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ