বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে বিভিন্ন নদ-নদী পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ১০ জেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলে দেশের ছয়টি নদ-নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এজন্যে উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উভয় নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। এই পানি বাড়ার ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অপার মেঘনা অববাহিকার মনু ও খোয়াই ব্যতীত প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, যমুনা নদীর আটটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে ফুলছড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার, পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, মথুরা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ও আরিচা পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে।
এদিকে, পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৩৫ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ সবজি ক্ষেত ও আমনের বীজতলা।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন আরও পানি বাড়তে পারে। তবে বুধবার থেকে (১ সেপ্টেম্বর) পানি আবারও কমতে শুরু করবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানান, মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ভোর ৬টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৭৫ মিটার। সোমবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৬টায় এই পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৩.৬৯ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় পানি বেড়েছে ৬ সেন্টিমিটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।