পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনের পর দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা গত সপ্তাহ দুয়েক হলো কমতির দিকে। একদিনে করোনায় মৃত্যু যেখানে আড়াইশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল; সেখানে এই সপ্তাহ দুয়েক সময়ের ব্যবধানে সেটি একশ’র নিচে নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ৯৪ জন। এটা টানা তৃতীয় দিনের মতো করোনায় দৈনিক মৃত্যু একশ’র নিচে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু তার আগের দুই দিনের চেয়ে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯৪ জনের মৃত্যু হলেও আগের দিন ছিল ৮৯ জন, তার আগের দিন ৮০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। টানা দুই মাস পর সেদিনই করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ১০৯ জন। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭২৪ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ৬ হাজার ১৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন জানিয়ে অধিদফতর জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেন মোট ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন।
এতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩১ হাজার ৩৮৩টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৮৫৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৮৯ লাখ ২৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৬টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৩ লাখ ৫ হাজার ৬১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন আর নারী ৪৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব মতে, দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৬ হাজার ৯৪৩ জন আর নারী ৯ হাজার ১৬৬ জন। এদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৪ জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন। একদিনে নিহত ৯৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬ জন, খুলনা বিভাগের ৫ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের একজন করে, সিলেট বিভাগের ৭ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, ৯৪ জনের মধ্যে ৭৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে আর বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। এক মাস পর ১৫ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এর ঘরে পৌঁছায়। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০১ জন। এক মাস পাঁচ দিন পর ২৫ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে যায়। এর ১৫ দিনের মাথায় ১০ জুন এই সংখ্যা স্পর্শ করে হাজারের ঘর। সে হিসাবে দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের ৯৫ দিনে করোনায় মৃত্যু স্পর্শ করে হাজারের ঘর। এর ২৫ দিন পর ৫ জুলাই ২ হাজার ছাড়িয়ে যায় করোনায় মৃত্যু। এরপরের এক হাজার মৃত্যু হয় আরো দ্রæত মাত্র ২৩ দিনে। ২৮ জুলাই ৩ হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় করোনায় মৃত্যু। দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৪ এবং ৫ হাজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে সময় লাগে ২৮ দিন করে। ২৫ আগস্ট ৪ হাজার ও ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃত্যু। এরপর করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর গতি সামান্য কমে যায়। ২২ সেপ্টেম্বরের ৪৩ দিন পর ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, এর ৩৮ দিন পর ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজার এবং তার ৪২ দিন পর ২৩ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু পেরিয়ে যায় ৮ হাজারের ঘর। এরপর মৃত্যু ৯ হাজারের ঘরে যেতে সময় লাগে ৬৭ দিন; চলতি বছরের ৩১ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার পেরিয়ে যায়। এরপর সংক্রমণ ভয়াবহ হয়ে উঠলে ২৫ এপ্রিলই করোনায় মোট মৃত্যু ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর ১৬ দিন পরে অর্থাৎ ১১ মে মৃত্যু ছাড়ায় ১২ হাজারের ঘর। ১১ জুন দেশে করোনায় মৃত্যু ১৩ হাজার ছাড়ায়।
এর পরের হাজার মৃত্যুতে সময় লাগে ১৫ দিন। ২৬ জুন দেশে করোনায় মৃত্যু ১৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর ঠিক আট দিন পরেই ৪ জুলাই দেশে করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজারে পৌঁছায়। এরপর ৪ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ৬ দিনে দেশে এক হাজার ৯২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেন। ১০ থেকে ১৪ জুলাই, ১৫ থেকে ১৯ জুলাই, ২০ থেকে ২৪ জুলাই এই সময়ের প্রতি ৫ দিনেই করোনায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে এক হাজার করে। অর্থাৎ ১৪ জুলাই ১৭ হাজার, ১৯ জুলাই ১৮ হাজার ও ২৪ জুলাই করোনায় মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়ায়। এর ৪ দিনের মাথায় ২৮ জুলাইয়ে মোট মৃত্যু ২০ হাজারের ঘর অতিক্রম করে। এরপর ২ আগস্ট ২১ হাজার, ৬ আগস্ট ২২ হাজার ও ১০ আগস্ট করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু ২৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। পরের ছয় দিনে দেশে করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যান এক হাজার ২৭৮ জন। ১৫ আগস্ট দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ায় ২৪ হাজার। ২০ আগস্ট করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সবশেষ ২০ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট ১১ দিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন এক হাজার ২৩১ জন। এর মাধ্যমে করোনায় মোট মৃত্যুসংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২৬ হাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।