রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নদী বন্দরের বিভিন্ন ঘাটের সড়কের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না এ সড়কগুলো। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
জানা যায়, নওয়াপাড়া নদীবন্দর ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে দেশের মধ্যে অন্যতম। দেশ এবং বিদেশ থেকে বড় বড় জাহাজ, কার্গো ও ট্রলার নৌপথে সার, সিমেন্ট, কয়লা, বালুসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশষ্য নিয়ে নওয়াপাড়ার নৌবন্দরের ঘাটে আসে। এসব পণ্য নৌবন্দর থেকে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর অঞ্চলসহ দেশেব্যাপী সরবরাহ হয়ে থাকে।
এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় মোকাম হিসেবে নওয়াপাড়া দেশে অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি লাভ করে। এর ফলে ব্যবসাবান্ধব ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়াকে নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বন্দরের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি বিআইডবিøউটিএ। সরকারিভাবে ৯টি ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্সকৃত প্রায় ১শ’ ওপরে ঘাট রয়েছে এই নদী বন্দরে। তবে বেশিরভাগ ঘাট চলাচলের অনুপযোগী। দুই-একটা পন্টুন ও জেটি ছাড়া কিছুই নেই এ নৌবন্দরে। এখানে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হয় পানিবদ্ধতা। এতে কাদা-পানিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয় বন্দরের এ সড়কগুলো। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে বন্দরের ব্যবসায়ী, যানবাহনের শ্রমিক ও বন্দরে মালামাল বহনকারী প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।
নওয়াপাড়া সার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ জালাল হোসেন বলেন, নওয়াপাড়াকে নৌবন্দর ঘোষণা করা হলেও এর রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মধ্যে আছে। তিনি আরোও বলেন, নওয়াপাড়া নদীবন্দরের সাথে যদি গাইডওয়াল করা হয় তাহলে নওয়াপাড়া ব্যবসায়ীদের মনের আশা পূরন হবে।
নওয়াপাড়া রাজঘাট শিল্প অঞ্চল শাখা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী ব্যাচা জানান, নওয়াপাড়া নদীবন্দর একটি ঐতিহ্যবাহী বন্দর হিসেবে পরিচিত। এ বন্দর থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও বন্দরের উন্নয়নের কোনো কাজ করা হচ্ছে না।
বন্দরের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। বেহাল সড়কে প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে রাস্তা বন্ধ থাকে। এতে করে বন্দরে মালামাল লোড আনলোড ব্যহত হয়। পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। গুনতে হয় অনেক টাকা। এ প্রসঙ্গে নওয়াপাড়া নৌবন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই রাস্তাগুলোর ওপর সুদৃষ্টি দিবেন।
এ বিষয়ে বিআইডবিøউটিএ সহকারী পরিচালক মো. ফরিদুর রহমান বলেন, নৌবন্দরের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সময়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি দ্রæত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।