রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাউফলে পুত্রের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাবা ও মা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় বাউফল প্রেসক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাবা মোসলেম উদ্দিন মৃধার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর ছোট ছেলে জিয়াউল হক জুয়েল।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আমি মোসলেম উদ্দিন মৃধা মদনপুরা ইউনয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমার ছেলে মনিরুল ইসলাম শাহিন একজন মামলাবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভ‚মিদস্যু প্রকৃতির মানুষ। সে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। তিনি বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এতে আমি বাঁধা দিলে তিনি আমার ও আমার স্ত্রীর ফজিলত বেগমকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমি আমার ছেলে শাহিনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় জিডি করলে শাহিন আমাদের ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মারধর করে। টাকা পয়সা নিয়ে যায় এবং ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে। আমি আমার পৌত্তিক সম্পত্তিতে চাষ করতে গেলে শাহিন বাধা দেয়। আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার দোকান থেকে ৫৫ হাজার টাকা নিয়া যায় এবং ভাঙচুর করে। আমি অতিষ্ট হয়ে পটুয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এই মামলায় শাহিন কয়েক দিন জেল হাজতে ছিল। এরপর আদালতে অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে। তিনি ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ও আমার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোসলেম উদ্দিনবলেন, আমার ছেলে মনিরুল ইসলাম শাহিন মৃধা ৪২ মামলার বাদী ও ৮ মামলার আসামি। তার হাতে গোটা চন্দ্রপাড়া গ্রামের মানুষ জিম্মি। আমি নিরুপায় হয়ে পুত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেন করেছি। আমি এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। শাহিনের মা ফজিলাত বেগম বলেন, ওরমত খারাপ ছেলে বাউফলে আর নেই। ও আমাদেরকে মারধর করে। আমি এই জালেম পুত্রের বিচার চাই।’ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শাহিন মৃধার চাচা ফারুক মৃধা, মুসা মৃধা, ছালাম মৃধা, আক্রাম মৃধা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।