Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাতক্ষীরায় অপচিকিৎসার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আর্থপোডিক্স ডাক্তার ও সাতক্ষীরা ট্রমা এন্ড আর্থপেডিক্স কেয়ার ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারি ডা. মো. হাফিজউল্লাহ’র অপচিকিৎসার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের উপকন্ঠে মাহমুদপুর বাদামতলা বাজারে এই মানববন্ধন পালিত হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম সরদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অপচিকিৎসায় পঙ্গুতের শিকার মাহমুদপুর গ্রামের ছাকাত আলী সরদারের ছেলে কামরুল ইসলাম, স্ত্রী মেহেরুননেছা, ব্যবসায়ী হাজী কওছার আলী, সাজ্জাত আলী সরদার, কলেজ ছাত্র আল-আমিন, রেজানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন মাহমুদপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরা ট্রমা এন্ড অর্থপেডিক্স কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি হন। অর্থপেডিক্স সার্জন ডাঃ মো. হাফিজউল্লাহ’র তার ডান পা অস্ত্রপচার করেন। এতে পায়ের ভাল অংশ কেটে হাড় থেকে মাংশ আলাদা করে ফেলেন। কাটা অংশটি আলগা করে রাখায় সেখানে পচন শুরু হয়। ১৬ দিনের কথা বলে ডাক্তার তার ক্লিনিকে টানা ৪৭ দিন রেখে দেন রোগীকে। একপর্যায়ে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে রোগীকে বের করে দেন। এরপরও রোগীর স্ত্রী অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ওই ডাক্তারের ক্লিনিকে যান। পা ভালো হয়ে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে দফায় দফায় নিয়েছেন ডাক্তার। কিন্তু পায়ের ক্ষত দিনে দিনে মারাত্মক খারাপ হয়ে যায়। এসময় ডাক্তার হাফিজ উল্লাহ রোগী ও তার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন। পরে অন্য এক ডাক্তারের কাছ থেকে কামরুল ইসলামের ক্ষতিগ্রস্থ্য ডান পা কেটে বাদ দিতে হয়। পঙ্গুতের কারনে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কামরুল ইসলামসহ পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অপচিকিৎসক ডাক্তার হাফিজুল্লাহর দৃষ্টিমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরন চেয়ে সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগ দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। সরকারি সদর হাসপাতালের জুনিয়র অর্থপোডিক্স সার্জন ডাঃ হাফিজুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ