পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত ও একজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর ৮৪৩-৮৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত ইউনুস আলী জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কলাবাগান এলাকার বুলবুল মিয়ার ছেলে এবং সাগরের বাড়ী নীলফামারী জেলার জলঢাকায়। অপর আহত ব্যক্তির বাড়ী পাটগ্রাম উপজেলা সদরে বলে স্থানীয় সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে।
ভারতীয় কোচবিহার-১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের পূর্ব-উত্তর দিকে ধরলা নদীর ধারে বিএসএফ টহল দলের কয়েক রাউন্ড গুলিতে ঐ দুজন নিহত ও একজন আহত হন। দুপুরের দিকে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ বিএসএফের উপস্থিতিতে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া অপর আহতকেও নিয়ে যায় পুলিশ। বিএসএফ ক্যাম্পের ৩০০ গজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, রোববার ভোরে বুড়িমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছ দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ৭-৮ জন বাংলাদেশি গরু আনতে যায়। এ সময় ভারতের কোচবিহার জেলার ১৪৮ চ্যাংড়াবান্ধা বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে এলেও ইউনুস ও সাগর বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন ।
রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার খলিলুর রহমান বলেন, নিহতদের লাশ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, লাশ দুটি টেনহেচড়ে বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে। আমরা ভারতীয় থানায় যোগযোগ করেছি। তারা ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ করেছে বলে জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।