পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা চিকিৎসায় সিলেট বিভাগের হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হচ্ছে অক্সিজেন সক্ষমতা। এতে করে অক্সিজেন সঙ্কটে করোনা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি মোকাবেলা হবে সম্ভব। ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আগামী সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে অক্সিজেন প্ল্যান্টের। আর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু-একদিনের মধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন কাজের জন্য আহ্বান করা হবে দরপত্র।
সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় এক হাজার শয্যা থাকা সত্তে¡ও জায়গা দেয়া যাচ্ছে না রোগীদের। কিন্তু বিভাগের অন্য তিন জেলা (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) সদর হাসপাতালে চালু করা করোনা ইউনিটে ২৬০ শয্যার মধ্যে পড়ে আছে অর্ধেক খালি।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না আইসিইউ শয্যাও। সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে সেবা দেয়া হচ্ছে রোগীদের। যে কারণে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপও কম। সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় জেলা হাসপাতালগুলোয় উপর ভরসা নেই রোগীদের। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটে আসছেন সিলেট নগরীতে। এ কারণে রোগীর চাপ অনেক বেশি সিলেটে। এমন পরিস্থিতিতেও চালু করা সম্ভব হয়নি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ৪৫০ শয্যার করোনা ইউনিটটি। শুধু সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় ইউনিটটি অকার্যকর প্রায়। অবশেষে সকল জটিলতা কাটিয়ে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগ স্থাপনে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি টাকা এবং আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছে সিসিক সূত্র।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ওসমানী হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইতোমধ্যে। শিগগিরই আহ্বান করা হবে দরপত্র। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বিভাগের অন্য তিনটি জেলা সদর হাসপাতালেও অক্সিজেন সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, মৌলভীবাজারে হাসপাতালে ১১ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ হাসপাতালে অক্সিজেন লাইন ও ট্যাংকের কাজ শেষ প্রায়। প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের প্রকৌশলী তাহমিদুর রহমান শাকিল বলেন, ইতোমধ্যে ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হবে এ সপ্তাহে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে গত শনিবার। এর মাধ্যমে জেলার চিকিৎসা সেবায় সূচনা হয়েছে নতুন দিগন্তের। এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের মাধ্যমে রোগীদের দেয়া সম্ভব হবে হাইফ্লু ক্যানোলা। এছাড়াও এই প্ল্যান্ট থেকে করোনা রোগী এবং প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সেবা পাবেন সাধারণ রোগীরা। অপরদিকে, গত বছর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও সেন্ট্রাল লাইন স্থাপনের নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। ইতোমধ্যে অক্সিজেন লিকুইড ট্যাংক স্থাপন করেছে প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হলেই অক্সিজেন সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ।
হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোমেন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে স্থাপন হয়েছে ট্যাংক। ৫ হাজার ৬৪৪ লিটার অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতার সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হলে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া সহজ হবে করোনা রোগীদের। নিশ্চিত করা যাবে আইসিইউ সেবাও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় প্রথম পছন্দের স্থান সিলেট হওয়ায় বিভাগের অন্য জেলাগুলোর রোগীরা সিলেটেই ভিড় করছেন, সেকারণে প্রচন্ড চাপে এখানকার হাসপাতালগুলো। বাস্তবিক এ কারণেই ওসমানীর নতুন ভবনে ৪৫০ শয্যার একটি করোনা ইউনিট চালু এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। একই সাথে বিভাগের অন্য তিন জেলার সদর হাসপাতালোগুলো প্রস্তত করা হচ্ছে অক্সিজেন সক্ষমতায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।