রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মঠবাড়িয়ার বলেশ^র নদীর জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করায় জাপা নেতা শফিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে। তুষখালীর সাবেক ইউপি সদস্য ছগীর মিয়ার বিরুদ্ধে গতকাল রোববার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। শফিকুল ইসলাম উপজেলার তুষখালী গ্রামের আইউব আলী সিকদারের ছেলে ও উপজেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় তুষখালীর মমতাজ মার্কেটের সামনে থেকে মঠবাড়িয়া থানার এসআই পলাশ চন্দ্র রায় তাকে থানায় ডেকে নিয়ে আসেন। এ বিষয় শফিকুল ওসির কাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ রয়েছে। কিছুক্ষণ পরে ছগীর ও তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার ওসির রুমে প্রবেশ করে। এসময় ওসি শফিকুলকে ছগীর হোসেন ও চেয়ারম্যানের কথামতো চলার নির্দেশ দেন। শফিকুল প্রতিবাদ করলে ওসি ও দারোগার সামনে ছগীর মিয়া শফিকুলকে মারধর করে। পরে একটি মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ২০ দিন কারা ভোগের পর জামিনে বেড়িয়া গত ২৫ আগস্ট শফিকুল বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা তাকে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মারামারির মামলায় শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।