বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র জানান রবিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২.৬০) ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এর আগে রাতে ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুরের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকে। বিকেল ৩টার পর থেকে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই,টেপাখড়িবাড়ী,খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চর প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। ওই সব এলাকায় অনেক স্থানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় অনেক পরিবার অন্যত্র সরিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
টপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, তেলিরবাজার এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালুর বাঁধে ভাঙ্গতে শুরু করেছে। এছাড়া কিছু অংশ ধসে পড়েছে। খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, দোহলপাড়া বাঁধের ৬০ মিটার ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ৪০টি পরিবারের জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে আরও পাঁচটি পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদ দৌলা জানান, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।