বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ছড়ার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বাড়িঘর ও দোকানপাট। চেঙ্গী নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। আসন্ন বর্ষায় এই এলাকায় ভাঙন তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীর।দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভেঙে যেতে পারে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কালভার্টটি ।ছড়াটির দুই পাশের ফসলি জমিগুলোও ভাঙতে ভাঙতে একটি বড় খালে পরিণত হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতে শুকনাছড়ি ছড়ার ছোট নালাটির দুই পাশের কৃষিজমিগুলো ভেঙে গিয়ে ছড়াটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। কালভার্টটির নিচের দিকে ছড়ার দুই পাশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। তীব্র ভাঙনে এরই মধ্যে ছড়ার দুই পাশের অনেক কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রধান সড়কের কালভার্টটি, দোকানঘর, নালকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাসহ বেশকিছু কৃষিজমির অংশ।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শুকনাছড়ি ছড়া। ছড়াটির দুই অংশ দুই ধরনের। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের পূর্বপাশে ছোট্ট ছড়া আর পশ্চিমপাশে অর্থাৎ কালভার্টটির পর থেকে ছড়াটির দুই পাশের কৃষিজমি ভেঙে গিয়ে খালের মতো হয়েছে। এবারের বর্ষায় আরও ভাঙবে বলে জানান স্থানীয়রা। এই ছড়ার দুই পাশের অনেক কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে অনেক আগেই। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা না গেলে অচিরেই হয়তো আরও অনেক কৃষিজমি খালে বিলীন হয়ে যাবে। জমি বিলীন হলে অসহায় হয়ে পড়বেন কৃষককরা। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তাদের।
৪নং লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিরণ ত্রিপুরা জানান, খাগড়াছড়ি-পানছড়ির প্রধান সড়কের পাশে শুকনাছড়ির ছড়ার ওপরে নির্মিত আছে একটি কালভার্ট। দিন দিন ভেঙে গিয়ে অনেক ধানিজমি বিলীন হয়ে গেছে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও বিলীন হয়ে যাবে অনেক কৃষিজমি, সঙ্গে প্রধান সড়কের কালভার্টটিও। তিনি সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
খাগড়াছড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়জুল্লা মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি শহর ও জনগুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নদীভাঙন থেকে রক্ষার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন নদীর ভাঙন রোধ করার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই ভাঙন এলাকায় কাজ শুরু করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।