টাঙ্গাইলে সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাধ উপচে ও ভেঙে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইল উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির আমন ধান ও সবজি।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই গবাদিপশুসহ উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটায় পানি উঠায় বন্যা দুর্গতরা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটের মধ্যে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সংকট। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ বানভাসি মানুষের।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত এলাকায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে সে সমস্ত এলাকায় খুব শীঘ্রই সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।