পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে কোভিড পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করলেও বাড়ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতা। জনসমাগমেও মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখা যাচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা, একটু ঢিলেমি কোভিডের আরেকটি ঢেউয়ের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। স্বস্তির ধারা ধরে রাখতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা আর টিকা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। ভারতীয় ডেল্টা ধরনের প্রভাবে দুই মাসেরও বেশি সময় দেশে তান্ডব চালানো কোভিড এখন সব সূচকেই নিম্নমুখী।
প্রতিদিন শনাক্ত নেমেছে সাড়ে ৩ হাজারের ঘরে, যা ১০ সপ্তাহে সর্বনিম্ন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও ১২ শতাংশ। প্রাণহানি যদিও এখনো প্রতিদিন ১১০-এর ঘরে, কিন্তু তা চলতি মাসের শুরুর তুলনায় অর্ধেকেরও নিচে। অবশ্য গতকাল প্রাণহানি ছিল ৮০ জন।
সব সূচকই যখন আভাস দিচ্ছে কিছুটা স্বস্তির, তখন উল্টো চিত্র জনসচেতনতায়। বিধিনিষেধ শিথিলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসীনতা। মানুষের ভিড়েও মাস্ক ব্যবহারে অনেকেরই অনীহা। মুখে মাস্ক না থাকা এক রিকশাযাত্রী বলেন, মাস্কটা পকেটেই ছিল, এখন খুঁজে পাচ্ছি না। অনেকক্ষণ থেকে ভাবছি একটা মাস্ক কিনব। বাবুল নামে এক পথচারীকে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক তো কোথাও দেখছি না। একটা যে কিনব, কিনে পরব, দেখেন তো আশেপাশে কোথাও মাস্ক বিক্রি করছে কি না। আর নাশতা করে বের হওয়ার জন্য মাস্ক খুলে রেখেছেন এমন অজুহাতও রয়েছে অনেকের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতি উন্নতির ধারায় থাকলেও ঢিলেমির কোনো অবকাশ নেই। মানুষের অসচেতনতায় যে কোনো সময়ই আবারও ভয়ানক হতে পারে কোভিড, উড়িয়ে দেওয়া যায় না নতুন ঢেউয়ের শঙ্কাও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কোভিড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমি যদি সবই করি, কিন্তু মাস্ক যদি না পরি তাহলে আমি মোটেও নিরাপদ না। এ বিষয়ে যেন আমাদের সন্দেহ না থাকে। আমরা যদি উদাসীন হয়ে যাই, আমরা যদি মাস্ক না পরি, সেখানে কিন্তু আশঙ্কা থেকেই যাবে আবারও সংক্রামিত হয়ে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। প্রথমত হচ্ছে মাস্ক পরা, দ্বিতীয়ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং তৃতীয়ত হচ্ছে ভ্যাকসিন প্রদান করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী, পরপর দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলেই কেবল কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে বিবেচনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।