পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোতে উদ্ভাবনমূলক টেকসই উন্নয়নের সমাধানসমূহ গ্রহণ, বিশেষ করে কারখানাগুলোতে পরিবেশগত ও সামাজিকখাতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজিএমইএ’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ জানায়, চুক্তির আওতায় উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত, পরিবেশগত এবং সামাজিক ধারনা বা অভিজ্ঞতা প্রদানের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করবে। এই যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে জিএফএফ দুই বছরে বাংলাদেশের বস্ত্র উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে তহবিলের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তহবিলের আকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সে অনুযায়ী ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করার লক্ষ্য রাখে। এই সহযোগিতার উদ্দেশ্য হলো উদ্যোক্তাদেরকে অর্থায়ন এবং পুনরুদ্ধার ও পুনর্জন্মমূলক পোশাক সরবরাহ চেইন তৈরিতে সহায়তা করা। অর্থাৎ উৎপাদনে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও নিরাপদ উপকরণ ব্যবহার, জ্বালানী সাশ্রয়, ক্লোসড লুপ মেন্যুফ্যাকচারিং, শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সহায়তা করা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, টেকসই উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিজিএমইএ জ্বালানী দক্ষতা, নবায়নযোগ্য শক্তি, কার্বন নিঃসরণ ও ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করা, বৃত্তাকার অর্থনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। জিএফএফ ফান্ডের পরিচালক বব অ্যাসেনবার্গ বলেন, আমরা পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং উত্তম ফ্যাশন অনুশীলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও জিএফএফ ফান্ড পরিচালক বব এ্যাসেনবার্গ। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর পরিচালক ব্যারিষ্টার শেহরিন সালাম ঐশী ও মো. মহিউদ্দিন রুবেলও উপস্থিত ছিলেন। জিএফএফ এর দৃষ্টিভঙ্গি হলো পোশাক সরবরাহ চেইনের সরবরাহকারীদের জন্য উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করা, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উত্তম ফ্যাশন চর্চাকে সহায়তা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।