পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যানজটের প্রভাব রাজধানীর ভেতরে-বাইরে : শিল্প কারখানা ও ব্যবসায় ক্ষতি
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ করিডোর ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক। ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার অংশে র্যাপিড বাস ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ চলমান প্রায় ৯ বছর। বিকল্প সড়ক না করা এবং শর্ত অনুযায়ী এই মহাসড়কটি সংস্কার না করায় ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়েছে বহু আগেই। বিকল্প পথ হিসাবে আশুলিয়া সড়কের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সেটারও বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দিন-রাত লেগেই থাকছে ভয়াবহ যানজট। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও আশুলিয়া সড়কের জিরাব অংশে গর্তে পড়ে একটি মালবাহী ট্রাক উল্টে যায়। এতে করে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব গতকাল সারাদিনেও কাটেনি। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ করিডোর দিয়ে উত্তরাঞ্চলসহ ২৭টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে এ করিডোরের ভোগান্তির শেষ কবে কেউ জানে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ করিডোর ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-আশুলিয়া সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে। রফতানি আয়েও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। সেই সাথে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমান বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খোঁজার নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত রোববার এক অনুষ্ঠানে গাজীপুর থেকে রাজধানীমূখী বাস র্যাপিড ট্রানজিটকে গলার কাঁটা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এটি নতুন করে বাড়ানোর দরকার নেই। যা আছে সে পর্যন্ত শেষ করতে হবে দ্রæত।
দেশের অন্যতম প্রধান পোশাক কারখানার এক মালিক জানান, কিছুদিন আগে এক সকালে তার গাজীপুরের কারখানায় একজন মার্কিন ক্রেতার সঙ্গে বৈঠক ছিল। কিন্তু ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের যানজটের কারণে ওই ক্রেতা সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। ফলে রাজধানীর গুলশান এলাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেল বুক করে বৈঠক করতে হয় তাকে। তিনি বলেন, উনি আমার কারখানায় গেলে আমরা তাকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাতে পারতাম।
ঢাকার নিকটবর্তী গাজীপুর ও সাভার দেশের অন্যতম শিল্পকেন্দ্র। সাড়ে ৪ হাজারের বেশি কারখানা গড়ে উঠেছে গাজীপুরে। আর সাভারে আছে ইপিজেডসহ দেড় সহ¯্রাধিক ছোট বড় কারখানা। গাজীপুরের সড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এই শিল্পকেন্দ্রই এখন বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পের কাজের জন্য শিল্পের সম্পূর্ণ সরবরাহ চক্র তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেই, সেইসঙ্গে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রীরাও। অন্যদিকে, গাজীপুর সড়কের বিকল্প হিসাবে আশুলিয়া সড়ক ব্যবহার করে যান চলাচল বেড়ে যাওয়ার পরেও সওজ কর্তৃপক্ষ এ সড়কের প্রতি নজর দেয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এটি এখন পরিত্যক্ত সড়কে পরিণত হয়েছে। আশুলিয়া বাজার থেকে শুরু করে বাইপাইল মোড় পর্যন্ত এ সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে সব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে এই সড়কে চলাচলকারীদের। গতকাল বৃহস্পতিবার জিরাব অংশে মালবাহী একটি ট্রাক গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এতে করে ওই সড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা জেলা ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, গাজীপুরের সড়কের বেহাল দশা এড়াতে হাজার হাজার গাড়ি বিকল্প হিসেবে আশুলিয়া সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে ইদানিং এ সড়কে চাপ এতোটাই বেড়েছে যে, কোনোভাবেই যানবাহন সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দিন-রাত যানজট লেগেই থাকছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে সাভারে প্রতিদিন যাতায়াত করে ইপিজেডে কর্মরত মারুফ আহমেদ ফয়সাল। তিনি বলেন, বিদেশি কোম্পানীর অধীনে চাকরি। এক মিনিট দেরি করার উপায় নেই। আগে উত্তরা থেকে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত যেতে ৪০ মিনিট লাগতো। এখন দুই ঘণ্টায়ও তা সম্ভব হচ্ছে না। কোনো কোনো দিন চার ঘণ্টাও লাগে। তিনি বলেন, সাভারের ইপিজেডে কর্মরত বহু বিদেশি নাগরিক উত্তরাতে থাকেন। তারাও ভাঙাচোরা সড়কের কারণে প্রতিদিন সীমাহীন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে রফতানি আয়েও। কারণ বিদেশিরা তাদের বায়ারকে প্রতিদিনই যানজট ও ভোগান্তির কথা জানাচ্ছে। এর কুপ্রভাব একদিন পড়তে বাধ্য। স্থানীয়রা জানান, আশুলিয়ার বিশমাইল-জিরাব সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে শত শত যাত্রীবাহী ছোট-বড় পরিবহন ও মালবাহী গাড়ি দিয়ে যাতায়াতের সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিসহ ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার কারখানা ও পরিবহন শ্রমিকরা। ওই সব গর্তের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশা, ইজিবাইক, মালবাহী গাড়ি, কিংবা যাত্রীবাহী ছোট ছোট যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
কয়েকদিন আগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুলিয়া সড়কের বিশমাইল-জিরাব অংশে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় পুরো রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জিরাব থেকে কাঠগড়া, আমতলা পর্যন্ত এ সড়কের অবস্থা এতটাই নাজুক যে রিকশা-ভ্যানতো দূরের কথা, খালি পায়ে হেঁটে চলাচলও দুরূহ ব্যাপার। বড় বড় গর্তে আটকে যাচ্ছে ভারি যানবাহন। ফলে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। আর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত লাখো মানুষের।
অন্যদিকে, পোশাক শিল্প ছাড়াও বেক্সিমকো এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মতো অনেক শিল্পগোষ্ঠী গাজীপুরে শিল্প পার্ক স্থাপন করেছে। সরকারও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য শহরটিতে শ্রীপুর ইকোনমিক জোন এবং বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি স্থাপন করছে। গাজীপুরে তিনটি মোবাইল ফোন কোম্পানির ওপো, শাওমি ও টেকনোর অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট রয়েছে। বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরুর পর অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে ঢাকা-গাজীপুর সড়কের বেহাল দশা। বেশিরভাগ সময়ই এ মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে। ফলে বিদেশি ক্রেতা ও কোম্পানির নির্বাহীরা কারখানা পরিদর্শনে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে প্রতিদিন গাজীপুরে যাতায়াত করেন ফোন সংযোজনকারী প্ল্যান্টের অনেক চীনা কর্মকর্তা। তারা জানান, প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে এবং বাসায় ফিরতেই দিনের অনেকটা সময় পার হয়ে যায় তাদের। জরাজীর্ণ রাস্তার কারণে কারখানা থেকে কাঁচামাল এবং উৎপন্ন পণ্য পরিবহন বিঘিœত হচ্ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ; পণ্য উৎপাদনে সময়ও লাগছে বেশি। কখনও কখনও পোশাক কারখানার মালিকদেরও রাস্তায় বিলম্ব হওয়ার কারণে চালানের সময়সীমা মিস করে বসার উপক্রম হয়। অনেক কারখানা সময়ের ঘাটতি পোষানোর জন্য সারা রাত কাজ করে। মহাসড়কে যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কারখানার শ্রমিকদেরও।
বহুজাতিক কোম্পানি নেসলে বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক নকিব খান বলেন, তীব্র যানজট এবং ধূলিময় পরিবেশের জন্য গাজীপুরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালানো নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি জানান, তাদের কারখানা গাজীপুরে হলেও তাদের অধিকাংশ কর্মচারী প্রতিদিন ঢাকা থেকে সেখানে যান। অফিসে পৌঁছাতে প্রতিদিন তাদের কমপক্ষে চার ঘণ্টা সময় লাগে। এই দীর্ঘ যাত্রা একটা গুরুতর মানসিক চাপ। এছাড়া এর ফলে কর্মঘণ্টাও কমে গেছে।
এ প্রসঙ্গে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত আট বছরের দীর্ঘ উন্নয়ন কর্মকাÐে স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী যান, বাস এবং অন্যান্য যানবাহন রাস্তায় চলাচল করে, কিন্তু সে তুলনায় সার্ভিস লেন অপ্রতুল। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, জনগণকে বিপুল পরিমাণ হিডেন কস্ট বহন করতে বাধ্য করা হয়েছে, কিন্তু এটা নিয়ে কারোরই কোনো মাথাব্যথা নেই।
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে প্রতিদিন ঢাকার তেজগাঁওয়ে আসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হাবিবুর রহমান (৩৫)। তিনি বলেন, অফিসে আমার পৌঁছতে ৩-৪ ঘণ্টা লেগে যায়। আমার মনে হয়, আমি যেন একটি উন্নয়নের ফাঁদে আটকা পড়ে গেছি। পরিবহন চালক এবং মালিকরদের অনুভূতিও একই রকম।
ঢাকা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস সার্ভিস পরিচালনাকারী গাজীপুর পরিবহনে কর্মরত মোহাম্মদ আলম বলেন, আগে তিনি দিনে অন্তত চারটি ট্রিপ দিতে পারতেন। কিন্তু এখন দৈনিক দুটির বেশি ট্রিপ দিতে পারেন না। ফলে তার আয় আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আলম বলেন, সময় নষ্ট হওয়া ছাড়াও যানজটের কারণে প্রতি ট্রিপে আমাদের জ্বালানির পেছনে আরও ৫০০ টাকা বাড়তি খরচ হয়। পরিবহন মালিকরা জানান, প্রায় দেড় হাজার আন্তঃজেলা বাস ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে চলাচল করে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. শওকত আলী বাবুল বলেন, রাস্তায় প্রচন্ড যানজটের কারণে যাত্রীরা এখন বাসের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে। ঢাকা আসার জন্য তারা এখন ট্রেন ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। পণ্যবাহী যানবাহন, বিশেষ করে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের জন্য ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়ক এক দুঃস্বপ্নের নাম। অতিরিক্ত জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বহনের জন্য পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন।
কাভার্ড ভ্যান মালিক তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার জানান, তারা চট্টগ্রামে মাল পরিবহনের জন্য ১৩ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা ভাড়া নিতেন। কিন্তু এখন তারা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা ভাড়া নেন। তোফাজ্জল বলেন, এখন প্রচুর সময় নষ্ট হয়। ট্রিপের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চালক ও সাহায্যকারীদের আয় কমে গেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রতিদিন রাস্তায় ১০টির বেশি যানবাহন বিকল হয়ে যায়। ফলে তাদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
দায় নিতে চায় না কেউ
বিআরটি-৩ প্রকল্পের সড়ক ও মহাসড়ক অংশের প্রকল্প পরিচালক এএসএম ইলিয়াস বলেন, তার অংশের (টঙ্গী-গাজীপুর) রাস্তাগুলো এখন ভালো অবস্থায় আছে। তিনি অবশ্য রাস্তা কিছুটা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি শিগগিরই সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে। কারণ আমরা এখন রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য কাজ করছি। যানজটের সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অংশে। যানজট বেড়ে গেছে স্বীকার করে প্রকল্পের বিবিএ অংশের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান বলেন, রাস্তাটি অনেকদিন থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। তিনি বলেন, রাস্তাটি এখন বিআরটি-৩ প্রকল্পের আওতায় থাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের বিচ্ছিন্ন অবস্থার দিকে নজর দিচ্ছে না। মহিরুল ইসলাম খান বলেন, চুক্তিতে উল্লেখ নেই বলে বিআরটি-৩-এর ঠিকাদাররা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে না।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, দক্ষ জনশক্তি ও পেশাদারিত্বের অভাবে বাংলাদেশ একটি প্রকল্পও সময়মতো সম্পন্ন করতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ ইন্দোনেশিয়া এমন ১২টি বিআরটি প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, যানজট নিরসনের জন্য ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের মতো একটি জাতীয় করিডোরকে বাস র্যাপিড ট্রানজিটে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার ভুল করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।