Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি নৌরুট

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৩:১৯ পিএম

পদ্মায় তীব্র স্রোতের করণে ৯ দিন ধরে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বিকল্প হিসেবে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ঘাটে চলাচল করবে ফেরি।
৯দিন বন্ধ থাকার পর দেশের ২১ জেলার প্রবেশদার অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ রুটে ফেরি সার্ভিস সীমিত আকারে চালু হচ্ছে বলে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুবুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান। তিনি আরো জানান এই নতুন নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে কখন চালু হচ্ছে এই নির্দেশনা এখনো আসেনাই।
এদিকে এই ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফেরি বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ গুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যকরা গেছে। ইঞ্জিন চলিত ট্রলার গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) কারিগরি সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল বলেন, ৯ দিন ধরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি বন্ধ রয়েছে। ফলে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০ আগস্ট থেকে মঙ্গলমাঝির এলাকায় ঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজটি শেষ হয়েছে গত বুধবার সন্ধ্যায়। পরে সেদিন রাতেই রো রো ফেরির পন্টুন বসানো হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ফেরি চালু হওয়ার। তবে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ঘাটটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ। স্রোতের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত এ নৌপথে ফেরি ছাড়া হবে না। তবে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে ২০ আগস্ট থেকে মঙ্গলমাঝি এলাকায় নতুন করে একটি ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় কাজ সম্পূর্ণ হয়ে ঘাট প্রস্তুত হয়েছে।

মঙ্গলমাঝির লঞ্চঘাট পদ্মা নদীতে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। সেখানে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রশস্ত ঘাট নির্মাণ করা হয়। বালুভর্তি জিওব্যাগের ওপর বাঁশ, ইট ও বালু দিয়ে ঘাটটি নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজারের পরিবর্তে শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি ঘাট চালু হওয়ায় মাঝিরকান্দির স্থানীয়রা খুশি। আর বিষাদে রূপ নিয়েছে বাংলাবাজার এলাকার লোকজনের।
এরআগে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজের জন্য কাঁঠাবাড়িঘাট ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরিয়ে নেয়া হয় বাংলাবাজার ঘাটে। গেল ১৫ নভেম্বর বাংলাবাজার ঘাট উদ্বোধন হয়। পরিকল্পনার অভাবের কারণে এতবড় গচ্ছা যাচ্ছে। অথচ কাঁঠাবাড়ি ঘাট সরানোর প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় এটি মাঝিরকান্দিতে সরিয়ে নিলে এই সঙ্কট এড়িয়ে চলা সম্ভব ছড়াও আর্থিক সাশ্রয় করা সম্ভব ছিল।
মাঝির কান্দিতে ঘাট নিয়ে আসায় ফেরি পথের দূরত্ব কমবে ৩ কিলোমিটার। এতে সময় এবং জ্বালানি সাশ্রয় হবে। তবে সড়ক পথের দূরত্ব বেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘাটের প্রশাস্ত সড়ক তৈরি হয়ে গেলে সব ধরনের ফেরি চলাচল করবে।
এরআগে গত ২৪ দিনে পদ্মা সেতুর পিলারে ৪ বার ফেরি ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর পিলারে চারটি ফেরি আঘাত করলেও বেশি আলোচনার জন্ম দেয় গত ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালালের ঘটনা। গত ২৩ জুলাই ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বাংলাবাজারঘাট মাঝিরকান্দি বা শিমুলিয়াঘাট মাওয়ায় স্থানান্তরের সুপারিশ করে। ২৫ জুলাই পেশ করা এই সুপারিশ যথা সময়ে কার্যকর শুরু করলেও ৯দিন ধরে ফেরি বন্ধ রাখতে হত না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনও দায়িত্বশীলদের অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ