বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে চালু হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝি নৌরুট। স্থানান্তর হচ্ছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট। আগামীকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) থেকে চালু হতে পারে শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝি ঘাট। তাই ৮দিন বন্ধ থাকার পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফেরি সার্ভিস সীমিত আকারে চালু হচ্ছে বলে যানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে এই ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফেরি বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ গুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যকরা গেছে। ইঞ্জিন চলিত ট্রলার গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে। এদিকে
মঙ্গলমাঝি ঘাটের ফেরির পল্টুন স্থাপনার কাজ চলছে এখন। তৈরি করা হয়েছে পল্টুন সংযোগ সড়ক।
শিমুলিয়াঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনগুলো মঙ্গলমাঝি ঘাট থেকে বিকল্প পথ কাজীরহাট হয়ে পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাবে। মাঝিরকান্দি থেকে এই ঘুরপথে জাজিরা পয়েন্টের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। রাস্তা সরু হওয়ার কারণে ওয়ানওয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
মাঝিরকান্দি থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টে দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। দক্ষিণাঞ্চল থেকে শিমুলিয়াগামী যানবাহন এই সড়কে মাঝিরকান্দি ঘাট ব্যবহার করবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, জরুরি পরিস্থিতিতে ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত মিডিয়াম ফেরি চলাচল করতে পারবে। মাঝিরকান্দি ঘাটের মূল চ্যালেঞ্জ পর্যাপ্ত রাস্তার অভাব। মঙ্গলমাঝি ঘাট থেকে পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকায় পুরোদমে ফেরি সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলমাঝি ঘাট ব্যবহার করে আপদকালীন সময়ে সীমিত ফেরি সার্ভিস চালুর ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় জরুরি ভার্চুয়াল সভা ডাকা হয়েছে।
এই সভায় শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি অংশ নিবেন। এই সভা থেকে ঘাট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
গত ১৮ আগস্ট থেকে পদ্মায় প্রবল দাবি ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি। দেশের ২১ জেলার প্রবেশদার অন্যতম প্রধান এই ফেরি সার্ভিস গত ৮ দিন ধরে বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
তবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজারের পরিবর্তে শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি ঘাট চালু হওয়ায় মাঝিরকান্দির স্থানীয়রা খুশি। আর বিষাদে রূপ নিয়েছে বাংলাবাজার এলাকার লোকজনের।
পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজের জন্য কাঁঠাবাড়িঘাট ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরিয়ে নেয়া হয় বাংলাবাজার ঘাটে। গেল ১৫ নভেম্বর বাংলাবাজার ঘাট উদ্বোধন হয়। পরিকল্পনার অভাবের কারণে এতবড় গচ্ছা যাচ্ছে। অথচ কাঁঠাবাড়ি ঘাট সরানোর প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় এটি মাঝিরকান্দিতে সরিয়ে নিলে এই সঙ্কট এড়িয়ে চলা সম্ভব ছড়াও আর্থিক সাশ্রয় করা সম্ভব ছিল।
মাঝির কান্দিতে ঘাট নিয়ে আসায় ফেরি পথের দূরত্ব কমবে ৩ কিলোমিটার। এতে সময় এবং জ্বালানি সাশ্রয় হবে। তবে সড়ক পথের দূরত্ব বেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘাটের প্রশাস্ত সড়ক তৈরি হয়ে গেলে সব ধরনের ফেরি চলাচল করবে।
এরআগে গত ২৪ দিনে পদ্মা সেতুর পিলারে ৪ বার ফেরি ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর পিলারে চারটি ফেরি আঘাত করলেও বেশি আলোচনার জন্ম দেয় গত ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালালের ঘটনা। গত ২৩ জুলাই ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বাংলাবাজারঘাট মাঝিরকান্দি বা শিমুলিয়াঘাট মাওয়ায় স্থানান্তরের সুপারিশ করে। ২৫ জুলাই পেশ করা এই সুপারিশ যথা সময়ে কার্যকর শুরু করলেও আটদিন ধরে ফেরি বন্ধ রাখতে হত না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনও দায়িত্বশীলদের অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।