Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা ইআইইউ’র

টিকাদান কার্যক্রমে ধীরগতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম ধীরগতিতে চলতে থাকলে দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। গতকাল বুধবার ইআইইউ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গবেষণায় দেখা গেছে, এই ক্ষতির মুখে পড়বে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলো। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর চেয়ে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক পিছিয়ে আছে। ইতোমধ্যে উন্নত দেশগুলো তাদের নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দিতে শুরু করেছে। যেখানে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অপ্রতুল রয়ে গেছে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যেসব দেশ ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাদের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ টিকা দিতে ব্যর্থ হবে তারা ২০২২-২৫ মেয়াদে দুই ট্রিলিয়ন ইউরোর সমান ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইআইইউ বলেছে, উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এই ক্ষতির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বহন করবে এবং উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক দূরত্ব বেড়ে যাবে। তারা সতর্ক করেছে, টিকা বিলম্বিত হওয়ায় অসন্তোষ বাড়তে পারে এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকি বাড়বে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা প্রায় মোট ক্ষতির তিন-চতুর্থাংশ। কিন্তু জিডিপির শতকরা হিসাবে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। গবেষণায় বলা হয়েছে, দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র এক শতাংশের তুলনায় উচ্চ আয়ের দেশগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ আগস্টের শেষ পর্যন্ত কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছে। বেশিরভাগ টিকার ক্ষেত্রে দুটি ডোজ নিতে হয়। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম মন্থর গতিতে এগিয়ে চলছে।

প্রতিবেদনের লেখক আগাথে ডেমারাইস বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলোকে টিকা সরবরাহে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা কোভ্যাক্স তার সামান্য প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, উন্নত দেশগুলো প্রয়োজনের তুলনায় দরিদ্র দেশগুলোকে সামান্য পরিমাণ টিকা সরবরাহ করায়, ‘ধনী দেশগুলোর সঙ্গে টিকার বিভাজন দূর হওয়ার সম্ভাবনা কম’। উন্নত দেশগুলো বুস্টার ডোজের দিকে মনোনিবেশ করছে যা কাঁচামালের ঘাটতি এবং উৎপাদনের ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ