Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের হাতে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেছে

জিয়ার মাজারে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

১৯৭২ সালের পর আওয়ামী লীগের হাতে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনি।। মুক্তিযুদ্ধের যারা সত্যিকারের দাবিদার হতে পারে যেমন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, বেগম খালেদা জিয়ার নামে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত আকাক্সক্ষাকে তারা পদদলিত করছে ।

গতকাল বুধবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশে ছদ্মবেশী একদলীয়শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে লুট করেছে। এই দলটি নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বলে মনে করে, সারাক্ষণ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে তারাই আজকে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। জনগণের যে আশা-আকাক্সক্ষা ছিলো সেই আশা-আকাক্সক্ষাকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা সবাই লড়াই করেছিলাম, সংগ্রাম করেছিলাম তাকে তারা হরণ করেছে, ধবংস করেছে এবং লুটে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিলো, সেই সংবিধানকে তারা কেটে-ছেটে তছনছ করে দিয়ে ছদ্মবেশি একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলো এবং আবারো এখন তারা ছদ্মবেশী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।

অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আহবান জানাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস না করে সত্যিকার অর্থেই দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যে অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা নিন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ ১০/১৫ জন নেতা-কর্মী নিয়ে দুপুর ২টায় বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
সকাল থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কিছু নেতৃবৃন্দ ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বিএনপি মহাসচিবও চন্দ্রিমা উদ্যানের মূল প্রবেশ পথ থেকে হেটে সমাধিস্থলে আসেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীদের প্রবেশে বাঁধা প্রদানের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত মুক্তিযোদ্ধাদেরে নিয়ে গঠিত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধ দল। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে যারা এখানে মুক্তিযোদ্ধা আছেন তারা অত্যন্ত পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের, সেই মুক্তিযোদ্ধা দলকে আজকে এখানে আসতে বাঁধা দেয়া হয়েছে, আজকে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যারা বয়োঃজ্যেষ্ঠ মানুষ আছি আমরা ইতোপূর্বে সবসময় গাড়ি মাজারের কাছে নিয়ে এসে আমরা আসতাম সেটাও এবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ