Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মু’মিনের জীবনে সুন্নাহর গুরুত্ব

মুফতি জাকারিয়া মাসউদ | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্বের ভাষনে মু‘মিনদের জন্য সর্বশেষ নসিহাত হিসেবে ঘোষনা করেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষন তোমরা এই দুটিকে আকড়ে ধরে রাখবে ততক্ষন তোমরা কেউ পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহ তায়ালার কিতাব ও আমার সুন্নাহ। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদিস নাম্বার ৩৩৩৮)

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা! আমাদের প্রথমে জানা দরকার সুন্নাহ শব্দের বিশ্লেষণ। সুন্নাহ শব্দটি আরবি, এর শাব্দিক অর্থ হলো : পথ , পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন, রিতিনিতী । (মিসবাহুল মুনীর) তবে আল মুফরাদাত গ্রন্থকার বলেন, সুন্নাতের অর্থ ব্যবহারভেদে ভিন্ন হতে পারে যেমন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত বলতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শকে বুঝায় অর্থাৎ তাঁর সুমহান জীবন ব্যবস্থাকে বুঝানো হয়। আবার আল্লাহর সুন্নাহ বলতে, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য যে নিয়ম পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে তা বুঝানো হয়। অর্থাৎ ঐ পদ্ধতি যার মাধ্যমে মহান আল্লাহর আনুগত্য করা যায়। পবিত্র কুরআন হাদিসে এ অর্থে বহু যায়গায় সুন্নাহর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। (সুরা বনি ইসরাইল আয়াত : ৭৭)

সুন্নাহ শব্দের পারিভাষিক অর্থ দাড়ায়, বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা, কাজ ও সম্মতিসুচোক সকল কর্ম। সুন্নাহ বিশ্লেষক উলামাদের মতে, যে সব বিধান কুরআন দ্বারা স্পষ্ট প্রমানিত নয় কিন্তু বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমল করেছেন বা করতে বলেছেন অথবা কেউ কোন কাজ করলে সমর্থন করেছেন এমন কাজকেই সুন্নাহ বলা হয়। সার্বিক ভাবে চিন্তা করে এটা বলা যায় যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিধান পূর্ণাঙ্গরুপে মু‘মিনের জীবনে বাস্তবায়নের সঠিক এবং একমাত্র নিতিমালার নামই হলো সুন্নাহ।

সুন্নাহ হলো জীবন পরিচালনার পদ্ধতি : প্রিয় বন্ধু ভাবার বিষয় হলো, পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুর ক্ষেত্রে তাঁর নির্মাতা যে নিতী নির্ধারণ করে দেয়, তাই হলো তা পরিচালনার সঠিক পদ্ধতি। কোন ক্ষেত্রে নির্মাতা নিজে সে পদ্ধতি শিক্ষা দান করে থাকে, আবার কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সে নিতী বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে থাকেন। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, বর্তমান উন্নত বিশ্বের “মোবাইল ডিভাইস” এটি তৈরী করার পরে সঠিক নিয়মে ব্যবহারের জন্য কোম্পানি নিজেদের পক্ষ থেকে গাইড লাইন করতে প্রথমে এর সাথে লিখিত নিতীমালা দেয়। তারপরও বুঝানোর জন্য রয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তি (বিক্রেতা) যারা এ নিতীমালা বুঝিয়ে দেয়। এর পরও কোন সমস্যা হলে রয়েছে সার্ভিসিং সেন্টার সেখান থেকে পুনরায় সংস্কার করানো যায়। ঠিক তেমনি মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করার পরে সঠিক ভাবে জীবন পরিচালনার জন্য গাইড লাইন হিসেবে দান করেছেন পবিত্র কুরআন। আর এই গাইড বুঝানোর জন্য দিয়েছেন নবী-রাসুল (স.) এবং বুঝানোর পরেও আল্লাহর কোন আদেশ নিষেধ অমান্য করলে সংশোধনের জন্য রেখেছেন তওবার ব্যবস্থা। আর আমাদেরকে নবী-রাসুল অর্থাৎ বিশ^নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পদ্ধতিতে কুরআন এর ব্যখ্যা করে বুঝিয়েছেন সে পদ্ধতিকেই বলা হয় সুন্নাহ। এতক্ষন যে আলোচনা করা হলো তার দ্বারা নিশ্চয়ই বুঝা যায় যে, একজন ইমানদারের জীবন পরিচালনার পদ্ধতিই হলো সুন্নাহ। অর্থাৎ সুন্নাহ ছাড়া জীবন মানে হলো স্রষ্টার নিতীমালাহীন জীবন। এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, জীবন পরিচালনার পদ্ধতি হাদিস নয় বরং সুন্নাহ। সুতরাং আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি আহলে হাদিস নয়, বরং আহলে সুন্নাহ।

সুন্নাহ পালনে মহান আল্লাহর নির্দেশ : পবিত্র কুরআন এ মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন যে, হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি বলুন! যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরন কর! তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অতিতের গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা আলে ইমরান: আয়াত নাম্বার ৩১) অন্য আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের যা আদেশ দেন তা তোমরা পালন কর, যা নিষেধ করেন তা থেকে তোমরা বিরত থাকো। (সুরা হাশর : আয়াত ০৭) আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আরও বলেন, যে ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। ( সুরা নিসা : আয়াত নাম্বার ৮০) আমরা কেন অনুসরণ করবো কি আছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শে এ ব্যপারে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সুরা আহযাব : আয়াত ২১) এ ছাড়াও বিভিন্ন আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা সুন্নাহ পালনের প্রতি বিশেষ নির্দেশ প্রদান করেছেন। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, মু‘মিন তাঁর জীবনকে পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহর হুকুম দ্বারা সাজাতে চাইলে সুন্নাহর কোন বিকল্প নাই।

সুন্নাহ পালনে বিশ্বনবীর (স.) নির্দেশনা : বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যাক্তি আমার সুন্নাহকে জীবিত করবে/ভালবাসবে (নিজের জীবনে ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করবে) সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। (কানযুল উম্মাল : হাদিস নং ৯৩৩ আল মু‘জামুল আউসাত : হাদিস নং ৯৪৩৯) অন্য হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষন তোমরা এই দুটিকে আকড়ে ধরে রাখবে ততক্ষন তোমরা কেউ পথ ভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহ তায়ালার কিতাব ও আমার সুন্নাহ। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদিস নাম্বার ৩৩৩৮) এর দ্বারা বুঝা যায় বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুকরনের একমাত্র মাধ্যম হলো তাঁর রেখে যাওয়া সুন্নাহর অনুকরন। সুন্নাহ ধরন ভেদে গুরত্ব কম বেশি হতে পারে যেমন ব্যক্তি জীবনে সুন্নাহ এবং পারিবারিক জীবনে ও সামাজিক জীবনে সুন্নাহ পালনের ক্ষেত্রে গুরত্ব সমান নয় কিছু সুন্নাহ এমন আছে যার মাধ্যমে ইসলাম প্রসার হয় এবং ইসলামের সৌন্দর্য্য প্রকাশ পায় এমন সুন্নাহ‘র গুরত্ব নিশ্চয়ই ব্যক্তি জীবনের সুন্নাত ইবাদতের চেয়ে বহুগুন বেশি। যার কারনে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ফেৎনার সময়ে আমার একটি সুন্নাহকে প্রতিষ্ঠিত করবে সে ১শত শহীদের সওয়াব পাবে। অন্য হাদিসে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের উপর জরুরি হলো, তোমরা আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ কে অনুসরন করবে। (ফাতহুল বারী) এসবের দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে, সুন্নাহ পালন মুমিনের জীবনে কতটা গুরত্ব পূর্ণ অধ্যায়।

ইবাদাত কবুলে সুন্নাহর গুরত্ব : মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাত কামনা করে সে যেন সৎকর্ম করে ও তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। ( সুরা কাহাফ আয়াত : ১১০) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উক্ত আয়াতে রবের সাক্ষাত পেতে অর্থাৎ ইবাদাত কবুল হওয়ার জন্য দুটি অন্যতম শর্তের কথা উল্যেখ করেছেন। প্রথমত সৎকর্ম হওয়া ২য় র্শিক মুক্ত হওয়া। সৎ কর্ম বলতে ঐ ইবাদাতকে বুঝানো হয় যার মধ্যে থাকে আল্লাহ তায়ালার হুকুম এবং বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ। যেমনটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহন কর এবং যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো। আর আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালাকে ভয় কর নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর। ( সুরা হাশর আয়াত : ০৭) এ আয়াতে স্পষ্ট বুঝা যায় সুন্নাহ ছাড়া আমল পরিত্যয্য। ইবাদাতে সুন্নাহর গুরত্ব আলোচনা করতে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করলো যাতে আমাদের নির্দেশ (সুন্নাহ) নেই তা প্রত্যাখ্যত। (মুসলিম হাদিস নং ১৭১৮) সুতরাং কুরআন এবং হাদিস দ্বারা স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায় যে, ইবাদাতের অন্যতম এবং প্রধান র্শত হলো সুন্নাহ । সুন্নাহ বহির্ভুত ইবাদাত পানি শূন্য ডাবের মত, দেখতে যদিও সুন্দর কিন্তু সওয়াবের দিক থেকে শূন্য । অতএব মু‘মিনের জন্য জরুরি বিষয় হলো তাঁর যে কোন কাজ করার আগে হিসেব করতে হবে এ ব্যপারে প্রিয় নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নাত তরিকা কি? বা কাজটি সুন্নাহ সম্মত কি না? সুন্নাহ পাওয়া গেলে করা, না পাওয়া গেলে ছেড়ে দেওয়া। সুন্নাতের খেলাপ বলে সহজভাবে কোন আমল করতে থাকা সুন্নাহকে অবজ্ঞা করার নামান্তর আর সুন্নাহকে অবজ্ঞাকারী সওয়াবতো দুরে থাক বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহাব্বতের দাবীদার হওয়াই নিছক।

সুন্নাহ বিমূখতা ঈমানের অপূর্ণতা : বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে থেকে যে কেউ যতক্ষন পর্যন্ত তার পিতা-মাতা সন্তানাদী এবং সমস্ত মানুষের চেয়ে আমাকে বেশি ভালো না বাসবে ততক্ষন পর্যন্ত সে পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার হতে পারবে না । (বুখারী হাদিস নং ১৫, মুসলিম হাদিস নং ৪৪, মেশকাত হাদিস নং ০৭) আর পূর্বের হাদিসে উল্যেখ করা হয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভালোবাসার মাপকাঠি হলো সুন্নাহর অনুসরন। সুতরাং যার মধ্যে সুন্নাহর অনুকরন যত বেশি তার মধ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভালোবাসাও ততবেশি আর যার মধ্যে সুন্নাহ নাই তার মধ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভালোবাসাও নাই। আর যার মধ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভালোবাসা নাই তার মধ্যে ইমান ও নাই। কথা কিন্তু ক্লিয়ার, কোন কাজ করা হলো, তাতে সুন্নাতের খেলাফ হলো অথচ কিছুই মনে করলামনা মানে সুন্নাহর গুরত্ব নাই। এর পরিনাম কি হচ্ছে? হিসেবটা মিলিয়ে নিয়েন। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ইরশাদ করেন, মুমিনের উক্তি তো এই যে, যখন তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলের দিকে আহবান করা হয় তখন তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর তারাই সফলকাম। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম। (সুরা নূর আয়াত: ৫১-৫২)

প্রিয় বন্ধু! তাই একজন মুমিনের জীবনে প্রতিটি পদক্ষেপে একটি মাত্র চিন্তা যদি তার মনের মধ্যে দানা বাঁধতে পারে যে, আমি যে কাজটি করতে যাচ্ছি, তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ সম্মত কি না ? বা আমার কাজটি প্রিয়নবীর সুন্নাহ‘র খেলাপ হয়ে যাচ্ছে কি না? শুধু এতটুকু প্রশ্ন কারও বিবেক করতে শিখলে, সে ব্যক্তির জীবনে সুন্নাহ‘র খেলাপ কোন কাজ হবেনা । আর যদি কেউ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্নাহকে প্রাধান্য দিতে পারে, সে হবে খাঁটি আল্লাহ ওয়ালা মুসলিম। আর কেউ আল্লাহ ওয়ালা মুসলিম হলে, তাঁর জীবনে থাকবেনা কোন ভয় ও পেরেশানি। হে মহান আল্লাহ! আমি সহ প্রতিটি মু‘মিনকে সুন্নাহ‘র গুরত্ব বুঝে নিজের জীবনকে সুন্নাহ দ্বারা সজ্জিত করার তৌফিক দান কর। আমিন
লেখক : ইসলামি গবেষক ও কলামিষ্ট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মু’মিনের জীবন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ