পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের মা। সচিবের মায়ের সেবায় চার শিফটে নিয়োজিত আছেন এক উপ-সচিবসহ ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এমন সব তথ্য দিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে খবর স¤প্রচার করা হয়েছে। সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) আজিজুল ইসলাম এই ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব সমন্বয় করছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সচিবের পিএস। এঘটনা কেন্দ্র করে প্রশাসন জুড়েই নানা আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার আজিজুল ইসলাম ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, তালিকার (২৪ জনের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত) বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সচিব স্যার ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, এরপর আমার আর বলার কিছু থাকে না।
প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব একনেক সভায় থাকায় মন্ত্রণালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ওটা কোনো অফিস আদেশ ছিল না, একটি তালিকা মাত্র। এটি কৈ তৈরি করেছে, সে বিষয়ে আমরাও জানি না। তিনি বলেন, মন্ত্রী-সচিবদের আপনজন অসুস্থ হলে অনেকেই দেখতে যান। সচিব স্যারের মা অসুস্থ হওয়াও অনেকেই দেখতে যাচ্ছিলেন। সে ইস্যুতে হয়তো ধাপে-ধাপে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন। তালিকায় মন্ত্রণালয়ের মাত্র তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম আছে। বাকিরা অন্যান্য জায়গায় কর্মরত। তালিকাটি কে করেছে বা কে ফাঁস করেছে, তা নিয়ে মন্ত্রণালয় জুড়েই আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
নির্দেশনায় বলা হয়, সচিবের মায়ের সার্বিক অবস্থা সার্বক্ষণিক জানাতে হবে পিএসকে, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ, টেস্ট করানোর ও তা দ্রুত সংগ্রহ করা এবং হোয়াটসঅ্যাপে সচিবের পিএসকে রিপোর্টের কপি পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকতে হবে রোগীর কাছাকাছি, রোগীর এটেন্ডেন্টের কাছে জানান দিতে হবে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি।
এদিকে গতকাল দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত ইস্যুতে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি বলে দাবি করেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, অসুস্থ মাকে দেখার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব কাউকে কোনো দায়িত্ব দেননি। সহানুভূতির কারণে কেউ কেউ তার মাকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেখতে যেতে পারেন। তিনি বলেন, সচিব আমাকে বলেছেন যে তার মাকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তিনিও শারীরিকভাবে দুরবস্থায় আছেন। এ অবস্থায় আমাদের মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু কর্মকর্তা তার মাকে সহানুভূতি জানাতে গেছেন। এ ক্ষেত্রে উপচেপড়া ভিড় হওয়ার কারণে তারা নিজেরা পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে গেছেন সহানুভূতি জানাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।