প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দেশের চলচ্চিত্রে এক কিংবদন্তী অভিনেত্রী শবনম। এখন আর সিনেমা করেন না। ৭৯ বছরের প্রবীণ এই অভিনেত্রীর সময় এখন বাসায়ই কাটে। করোনার কারণে বাসা থেকে বের হননা বললেই চলে। বলা যায়, অনেকটা অবসর জীবনযাপন করছেন। করোনার আগে পাকিস্তানের একটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন। সিরিয়ালটির নাম ছিল মোহিনী ম্যানসন কি সিনডেরালিয়েন। করোনা শুরুর পর আর সেখানে যেতে পারেননি। তবে এখনও তিনি অভিনয় করতে চান। নিজের উপযোগী চরিত্র পেলে অভিনয় করার তার আগ্রহ রয়েছে। তিনি জানান, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চান। এ প্রজন্মের অনেকেই শবনম সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। দেশ-বিদেশের সিনেমায় অভিনয় করে তিনি যে অসামন্য খ্যাতি পেয়েছেন, তা অজানা। শবনমের প্রকৃত নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪০ সালের ১৭ আগস্ট তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ননী বসাক ছিলেন একজন স্কাউট প্রশিক্ষক ও ফুটবল রেফারি। চলচ্চিত্রে শবনমের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে পাকিস্তান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেতা ওয়াহিদ মুরাদ তাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। প্রথমে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। ‘এই দেশ তোমার আমার’ সিনেমায় তিনি একজন নৃত্যশিল্পীর চরিত্রে এবং ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায় একটি গানে পারফরম করেন। তার পারফরমেন্স দেখে মুস্তাফিজ তার ‘হারানো দিন’ সিনেমায় একক নায়িকা হিসেবে সুযোগ দেন। এ সিনেমার মাধ্যমে শবনম প্রধান নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন। এরপর ১৯৬১-৬২ সালে এহতেশামের চান্দা, জহির রায়হানের কখনো আসনি, মুস্তাফিজের তালাশ সিনেমাগুলো তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। শবনম মূলত পাকিস্তান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রাধান্য বিস্তার করেন। তার অভিনীত ১৭০টির বেশি সিনেমার মধ্যে ১৫২টি উর্দু, ১৪ টির বেশি বাংলা এবং ৪টি পাঞ্জাবী সিনেমা রয়েছে। সে সময় তিনি পাকিস্তান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ নায়িকা হিসেবে ছিলেন। তাকে বলা হয়, তিনিই বিশ্ব চলচ্চিত্রের একমাত্র নায়িকা যিনি প্রায় তিন দশক ধরে রোমান্টিক চরিত্রে অভিয়ন করেছেন। তার অভিনীত ২৩ টি উর্দু সিনেমা হীরক জয়ন্তী উৎসব পালন করে, যা ছিল দুর্লভ ঘটনা। তিনি ১৩ বার পাকিস্তানের নিগার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এটি ছিল একটি রেকর্ড। চলচ্চিত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০১২ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে। বাংলা সিনেমায় তার অভিনয় কম হলেও যে সিনেমাগুলো করেছিলেন, প্রত্যেকটিই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াতের আম্মাজান সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দেশের চলচ্চিত্রে আম্মাজান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৬৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একমাত্র ছেলে রনি ঘোষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।