Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাবজি-ফ্রি ফায়ার গেম নিয়ে বিরোধের জেরে খুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ৪:১০ পিএম

সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অবিলম্বে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদেশে তিন মাসের জন্য এসব গেম অনলাইনে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এমন নির্দেশনার মধ্যেই পাবজি, ফ্রি-ফায়ার গেমকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে কিশোর খুনের তথ্য জানাল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, ফ্রি-ফায়ার, পাবজি খেলা ও অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং নিয়ে অভিযুক্ত কিশোর মাগুরা সদরের বেরইল পলিতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে সজিব মিয়ার সঙ্গে কাজী গোলাম রসুলের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। ওই বিরোধের জেরে গত ২৭ জুলাই রাত পৌনে ৮টায় বেরইল পলিতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূর আলমের বাড়ির সামনে রসুলকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সজিব। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মুক্তা ধর বলেন, ঘটনাটি সিআইডির দৃষ্টিগোচর হলে এলআইসি শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে আত্মগোপনে থাকা সজীব মিয়াকে গত ১৮ আগস্ট নরসিংদী সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম সরানো ও বন্ধ করতে সিআইডির পরামর্শের বিষয়ে জানতে চাইলে এলআইসির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এসব ঘটনা বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বেশি দরকার। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ; সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখুন, সন্তানরা যাতে ক্ষতিকর এসব গেমে আসক্ত হয়ে না পড়ে। ভারতে ইতোমধ্যে এর ভয়াবহতা বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও হাইকোর্ট একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করছি, তিন মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে বাংলাদেশে চলছে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গেম। এ ক্ষেত্রে সিআইডির কোনো নজরদারি রয়েছে কি না জানতে চাইলে মুক্তা ধর বলেন, আমাদের সাইবার টিম এ ব্যাপারে কাজ করছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই রাতে মাগুরা সদর থানাধীন বেরইল পলিতা দক্ষিণপাড়া গ্রামে গোলাম রসুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর মো. সজিব মিয়া। মাগুরা সদরের বেরইল পলিতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের কাজী রওনক হোসেনের ছেলে গোলাম রসুল। সে স্থানীয় আলহাজ কাজী আব্দুল ওয়াহেদ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ