Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

টিকার অপেক্ষায় কোটি মানুষ

সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ নিবন্ধন করে দীর্ঘদিনে টিকা না পাওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে মানুষ : প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম টিকা তো ততটুকু দিতে পারব যতটুকু হ

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ক্রয়ে গত নভেম্বরের চুক্তি করে আশাবাদী হয়ে উঠেছিল দেশের মানুষ। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে তিন কোটি ডোজ ছয় মাসের মধ্যে পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এর বাইরে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে ৩২ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির ২০ লাখের পর আর ভারত থেকে বাংলাদেশ ক্রয়কৃত কোনো টিকাই পায়নি। বাকি টিকা কবে আসবে, তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদফতর। অথচ সবাইকে টেক্কা দিয়ে শুরুর দিকে টিকা ক্রয়ের চুক্তি করে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ভারত রাজনীতি করে বাংলাদেশের ক্রয়কৃত টিকা আটকে দেয়। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করায় প্রথম দিকে বাংলাদেশও টিকার অন্যান্য উৎস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত ছিল না। আর ভারতের ওপর নির্ভরশীলতায় ধীরে ধীরে টিকার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সময়োপযোগী পদক্ষেপে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ভারতের ভ্যাকসিন রাজনীতিকে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে কিছুটা অনীহা থাকলেও প্রতিদিনই টিকার প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত রোববার পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৬ হাজার ১০ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেন। এরমধ্যে ৩ কোটি ৪৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৬ জন এনআইডি দিয়ে এবং ৪ লাখ ১২ হাজার ১৭৪ জন পাসপোর্ট দিয়ে। ওই দিন পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৫ ডোজ।

এরমধ্যে টিকার আওতায় এসেছেন দেশের ২ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার মানুষ। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং পূর্ণ ডোজ অর্থাৎ দুই ডোজই টিকাসম্পন্ন হয়েছে ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জনের। প্রতিদিনই টিকার আওতায় আসা মানুষের সংখ্যা বাড়লেও নিবন্ধন করেও ১ কোটি ২১ লাখ মানুষ অপেক্ষায় আছেন। এর মধ্যে রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ১ লাখের মতো মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই আগ্রহ ধরে রাখতে দ্রুতই বিভিন্ন উৎস থেকে আরও টিকার সংস্থান ও নিবন্ধনকৃতদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই আগ্রহ ধরে রাখতে দ্রুতই বিভিন্ন উৎস থেকে আরও টিকার সংস্থান ও নিবন্ধনকৃতদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। নিবন্ধন করে দীর্ঘদিনেও টিকা না পাওয়ায় টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ হারাচ্ছে। প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ যে নিবন্ধন করেও টিকার জন্য অপেক্ষায় থাকছেন, তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো না গেলে এই জটলা কমানো সম্ভব হবে না।

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা মো. শাহ আলম ও জাহাঙ্গীর আলম করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করেন গত ১১ জুলাই। নিবন্ধনের সময় টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করেন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল। এরপর ৪৩ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কবে টিকা পাবেন, সে বার্তা (এসএমএস) এখনো পাননি।

এই হাসপাতালে নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি নিবন্ধন হয়ে গেছে। হাসপাতালের ছয়টি বুথে দৈনিক প্রায় দেড় হাজার টিকা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অর্ধেক পাচ্ছেন প্রথম ডোজের টিকা, বাকিরা দ্বিতীয় ডোজ। কবে নাগাদ অপেক্ষায় থাকা সবাইকে টিকার আওতায় আনতে পারবেন তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি কেন্দ্রের টিকা দেয়ার সক্ষমতা যদি হয় দেড় হাজার, তাহলে তার প্রায় অর্ধেক চলে যায় দ্বিতীয় ডোজ দিতে গিয়ে। দৈনিক টিকাদানের সক্ষমতা না বাড়িয়ে নিবন্ধন চলমান রাখলে অপেক্ষমাণ তালিকা দীর্ঘ হতেই থাকবে। তবে টিকাদানে সবচেয়ে বেশি সফল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। টিকার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. খোরশেদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও পরিচালকের তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত সফলতার সাথেই টিকা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন করাদের অপেক্ষমাণ তালিকা অনেকটা কমে এসেছে। বর্তমানে প্রবাসী সাড়ে ৭ হাজার জন এবং এনআইডির মাধ্যমে নিবন্ধন করা ৪৪ হাজার জন টিকার অপেক্ষায় আছেন। আশা করছি দ্রুতই সবাইকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

সূত্রমতে, নিবন্ধনের পর নিবন্ধনকারীর তথ্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর কেন্দ্র দৈনিক সক্ষমতা অনুযায়ী মানুষকে টিকা নিতে আসার জন্য খুদে বার্তা পাঠায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সফটওয়্যার ব্যবহার করে বার্তা পাঠানো হয়। কেন্দ্রগুলোর টিকা দেয়ার সক্ষমতার চেয়ে নিবন্ধন বেশি হওয়ায় জটলা তৈরি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, একটি কেন্দ্রে টিকা দেয়ার যে সক্ষমতা, তার চেয়ে এখন নিবন্ধন বেশি হচ্ছে। যা টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন, পর্যায়ক্রমে সবাই পাবেন। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সবাইকে টিকার নেয়ার বার্তা পাঠানো হচ্ছে।
সূত্রমতে, দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।

ভারত থেকে ক্রয়কৃত এবং উপহার হিসেবে এসেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ। এর মধ্যে ভারতের উপহারের টিকা ৩৩ লাখ। আর ভারত থেকে কেনা টিকা এসেছে ৭০ লাখ। চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকার প্রথম চালান আসে। আর দ্বিতীয় দফায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে কেনা ২০ লাখ টিকার টিকার দ্বিতীয় চালান আসে। এরপর ভারত থেকে কেনা টিকার চালান আর আসেনি। এদিকে ভারত বাংলাদেশকে তিন দফায় ৩৩ লাখ টিকা উপহার দেয়। ভারত প্রথম দফায় চলতি বছর ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা এসে ১২ লাখ টিকা উপহার দেন। আর তৃতীয় দফায় ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে ৮ এপ্রিল ঢাকায় এসে এক লাখ টিকা উপহার দেন।

চীন থেকে সিনোফার্মের উপহার এবং ক্রয়কৃত মোট ৮১ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে কেনা টিকা ৭০ লাখ। আর উপহারের টিকা ১১ লাখ। চীন থেকে প্রথম দফায় ১ জুলাই বাণিজ্যিকভাবে কেনা ২০ লাখ টিকা এসেছে। আর দ্বিতীয় দফায় ১৭ জুলাই আরো ২০ লাখ কেনা টিকা এসেছে। তৃতীয় দফায় ২৯ জুলাই চীন থেকে কেনা আরো ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় আসে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে চীন। প্রথম দফায় গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয় চীন।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার ও মডার্নার মোট ৫৬ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মডার্নার ৫৫ লাখ আর ফাইজারের ১ লাখ ৬২০টি টিকা। প্রথম দফায় ২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ টিকা উপহার দেয়। ১৯ জুলাই দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় আসে। এছাড়াও ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ১ লাখ ৬২০টি ফাইজারের টিকা উপহার পাঠায়।

এদিকে জাপান বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের আওতায় ৩০ লাখ টিকা উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে দিয়েছে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ টিকা। গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টিকার প্রথম চালান ঢাকায় আসে। গত ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ টিকার দ্বিতীয় চালান আসে। আর ৩ আগস্ট জাপান থেকে আসে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টিকা। চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই জাপান থেকে বাকি টিকা ধাপে ধাপে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অবশ্য গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে ‘গণটিকা’ কার্যক্রম আর নেয়া হবে না। গণটিকা আবার কবে শুরু হবে- প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করছি না। কারণ সে পরিমাণ টিকা হাতে নেই। আর ‘গণ’ কথাটা আগামীতে ব্যবহার করব না। আমাদের হাতে যখন যা টিকা আসবে আমরা ততোগুলো লোককে দেব। লম্বা লম্বা লাইন করে দিবো না। অনেকে বলেছে যে মর্ডানার টিকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি করে মডার্নার টিকা দেই। টিকা কিন্তু সবই কার্যকর তা যে দেশেরই হোক আমেরিকা, ভারত, যুক্তরাজ্য, চীন বা অন্য দেশ। সেজন্য হুড়োহুড়ি করে যাওয়ার দরকার নেই।

অনেকেই নিবন্ধনের এক মাসের পরেও টিকা পাচ্ছে না কেন- প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি নিবন্ধন হয়েছে। তার মধ্যে দুই কোটি লোকের বেশি টিকা পেয়েছেন। এমনও দিন গেছে যে ২০ লাখ লোক নিবন্ধন করেছেন। টিকা তো ততটুকু দিতে পারব যতটুকু হাতে আছে। এখন আমরা সেদিকেও নজর দেব যতটুকু আছে সে অনুযায়ী যেন নিবন্ধন হয়। মানুষ যাতে ভুল না বোঝে যে নিবন্ধন করলাম, পেলাম না। সব কাজই একটা সিস্টেমে আসতে সময় লাগে। আমরা গ্রামে নিয়ে গেলাম, গ্রামে সংক্রমিত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। গ্রামে মুরব্বি লোকরা থাকে, তাদের আগে সুরক্ষা দেয়া উচিত। টিকা আসলে আমরা গ্রামের দিকে মনোযোগ দেব। শহরে দুই কোটির মতো হয়ে গেছে।

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নিবন্ধনের সুযোগ এবং এনআইডি না থাকায় নিবন্ধন করতে পারছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিবন্ধনের সুযোগ দেব। টিকা হাতে নাই আর বড় বড় কর্মসূচি নেব, সেটা আগামীতে হবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনতে ক‚টনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাঁরা দু’জনই একাধিকবার টিকার সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আশার কথাও শুনিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, টিকা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ভারতের কাছ থেকে টিকা পেতে জোর তৎপরতা চলছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যে দেশ থেকে টিকা পাবো, তাদের কাছ থেকে নেব। বিভিন্ন সময়ে টিকা নিয়ে বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।



 

Show all comments
  • Rojina Akhter ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 0
    আমি প্রথম ডোজ দিয়েছি 10.03.21তাং। দ্বিতীয় ডোজ ঈদুল ফিতরের আগেরদিন পরেছিল সেদিন না যাওয়ায় পরে ভ্যাকসিন শেষ হ ওয়ায় কাল গেলাম। আমার টিকার কাড ও ম্যাসেস হারিয়ে গেছে,‌। কিন্তু কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা গন বলল আমার প্রথম ডোজ ই এন্ট্রি হয়নি। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahnap Janpakhi ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 0
    টিকার জন্য আবেদন করলাম কিন্তু এখন মেসেজ আসেনি,,,,কেন???????
    Total Reply(0) Reply
  • Adil Ashraf ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 0
    আজ প্রায় পাঁচ মাস হতে চলেছে ইন্ডিয়ান করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছি আর কি একটা আমরা পাবোনা ? কবে নাগাদ পাবো
    Total Reply(0) Reply
  • M.J. Quaderi ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
    দরকার কোটি কোটি আসে লাখে লাখ ! পরস্থিতি সামলানো কিভাবে -
    Total Reply(0) Reply
  • Rabeya Begum ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
    সকালে টীকা দেওয়ার জন্য রাতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Irfan Khan ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
    আচ্ছা আমিতো টিকা দিলাম, এরপরও কেন আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলাম। আমার মনে হয় এইগুলো 1% ও কার্যকর নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sabbir Md Sabbir ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
    লাগবে প্রায় 30 কোটি আছে 35 লাখ
    Total Reply(0) Reply
  • Begum Begum ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
    Mobile ar madome kivabe vacciner jonno registration korte hoy. Please bolben
    Total Reply(0) Reply
  • Mirja Jewel ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
    সব জায়গায় টিকা বানিজ্য চলছে। ১০০০-১৫০০ টাকায় নিবন্ধন চলছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Floyd Baroi ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 0
    Can I have a COVID Vaccine. I registered a month ago but still didn't receive any sms.
    Total Reply(0) Reply
  • nusrat jahan ২৪ আগস্ট, ২০২১, ৯:১২ এএম says : 0
    টিকার জন্য আবেদন করলাম 10-july-21 কিন্তু এখন মেসেজ আসেনি,,,,কেন???????
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mijanur Rahman ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:১৪ পিএম says : 0
    17 JULY 2021 KHOBOR NAI
    Total Reply(0) Reply
  • JAMSAD ALAM ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:৫৮ এএম says : 0
    ৩১/৮/২১ আবেদন করছি এখনো এস এম এস আসে নাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ