পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ (ভ্যাকসিন) প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানো যায় কি না, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেয়ার পর করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ব্যবধান কমানো যায় কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার, তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কলকারখানায় যে শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা কলকারখানা, উৎপাদন (প্রোডাকশন), পণ্যের সরবরাহ এগুলো কখনই বন্ধ করিনি। এই কয়েকটি (ঈদের পর বিধিনিষেধ) দিন ছাড়া। সে জন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের মন্ত্রণালয় একটা চুক্তির মতো করেও ফেলেছে, ছয় কোটি ভ্যাকসিন পাবে সিনোফার্ম থেকে। টিকা পাওয়া গেলেই দ্রুত কিভাবে শ্রমিকদের আলাদা কর্মসূচির (প্রোগ্রামের) আওতায় এনে দেয়া যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এটা কনফার্ম করেছেন, তিনি এটা দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শুধু শ্রমিকরা নয়, তাদের পরিবারসহ টিকা দিতে হবে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শুধু তাই নয়, আমরা যে এক মাসের ব্যবধানে দু’টি ডোজ দিচ্ছি, অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে আরো কম সময়ে দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছে, সে বিষয়টিও বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। টেকনিক্যালি এটা করা যায় কি না এটা টেকনিক্যাল বিষয়, আপনি-আমি তো জোর করে কিছু বলতে পারব না। অনেক দেশে গ্যাপটা (ব্যবধান) কমিয়ে নিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে একটা মানুষের সেফটিটা বেশি হয়ে যাবে। টেকনিক্যাল সাইট দেখে কম সময়ের গ্যাপে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায় কি না তা দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দ্বিতীয় ডোজের সময়টা একটু কমিয়ে দেয়া যায় কি না। মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা এক মাসে দিচ্ছি। এক মাসের পরিবর্তে আমরা ১৫ বা ২০ দিন করে দিতে পারি কি না, এ বিষয়টি আমাদের দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয়, আমরা সেটা করব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশে ১৫ দিনের মধ্যে দেয়া হয়, সেই দেশের রেফারেন্স টেনে বলা হয়েছে। এখন আমরা ডবিøউএইচও’র সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
গণটিকা আবার কবে শুরু হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করছি না। কারণ সে পরিমাণ টিকা হাতে নেই। আর ‘গণ’ কথাটা আগামীতে ব্যবহার করব না। হয়তো অধিদপ্তর থেকে করেছে। আমাদের হাতে যখন যা টিকা আসবে আমরা ততগুলো লোককে দেবো। লম্বা লম্বা লাইন করে দেবো না। অনেকে বলেছে, মডার্নার টিকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি করে মডার্নার টিকা দেই। টিকা কিন্তু সবই কার্যকর তা যে দেশেরই হোক- আমেরিকা, ভারত, যুক্তরাজ্য, চীন বা অন্য দেশ। সেজন্য হুড়োহুড়ি করে যাওয়ার দরকার নেই। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বললেন, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ডাক্তার-নার্স ও তাদের পরিবারকে দেয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও তাদের পরিবার, ছাত্রদের এবং বিদেশে যারা চাকরির জন্য যাচ্ছে তাদেরও দেয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পাক এবং সুরক্ষিত থাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।