পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে মাদারীপুরে দায়েরকৃত মানহানির মামলা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল (সোমবার) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইনকিলাব সম্পাদকের পক্ষে শুনানি করেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনিজল মোরসেদ। তিনি জানান, হাইকোর্ট মামলাটির কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এর আগে গতবছর ৩১ আগস্ট মাদারীপুরে ইনকিলাব সম্পাদক বাহাউদ্দীনসহ তিন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়। সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দৈনিক ইনকিলাবে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। সম্পাদকীয়টির বিষয়ে পরে সংশোধনী ছাপা হলেও ওই সম্পাদকীয়টি উদ্ধৃত করে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি করেন মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। এর আগে একই ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন শাজাহান খান এমপি।
এর মধ্যে মাদারীপুরে দায়েরকৃত মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলে একজন বিচারপতি শুনানি গ্রহণে বিব্রতবোধ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি একে এম জহিরুল ইসলামের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান। শুনানি শেষে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন অনুযায়ী মানহানির ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করতে পারেন। একই বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। কিন্তু উক্ত সম্পাদকীয়র বিষয়ে জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ঢাকায় উক্ত এমপি স্বয়ং বাদী হয়ে একটি মানহানি মামলা করার পরও মাদারীপুরে একই ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা হয়রানিমূলক এবং আইনের অপব্যবহার। একই গ্রাউন্ডে একসঙ্গে দু’টি মামলা চলতে পারে না। শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ এবং অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।