পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ তিনজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিএমএম আদালত গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন-সোনিয়া মেহজাবিনের স্বামী মাসুকুর রহমান ও ই-অরেঞ্জের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।
গতকাল সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিন জনকে রিমান্ডের শুনানির জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে, ই-অরেঞ্জের প্রতারিত গ্রাহকরা আদালত চত্বরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশে তারা বলেন, ই-অরেঞ্জের মালিক মেহেজাবিনের বড় ভাই শেখ সোহেল রানা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত)। টাকা আত্মসাতের পেছনে তার বড় ভাইয়ের যোগসাজশ রয়েছে। আমাদের টাকা ই-অরেঞ্জকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আদালত চত্বরে সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে শতাধিক গ্রাহক মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন। শুনানির সময় তারা আদালতের এজলাসের সামনে অবস্থান নেন। শুনানি শেষে সিএমএম আদালতের নিচে তারা বিভিন্ন শ্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত থাকতে বলেন।
গত সোমবার ১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেয়ার কথা ছিল। এ শর্তেও বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেয়ার কথা বললে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা ও মালিকপক্ষ জানান কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, করোনাকালীন ভুক্তভোগীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না দিয়ে ই-অরেঞ্জ তাদের মালিকানা পরিবর্তনের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। নতুন মালিক ও পুরোনো মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগীদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়া আসামিরা সবধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে গাঢাকা দিয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলা দায়েরের দিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান সোনিয়া ও মাসুকুর। কিন্তু আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গুলশান থানা-পুলিশ আমানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় পলাতক রয়েছেন বীথি আকতার ও কাওসার আহমেদ।
এদিকে ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গত ২০ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, দুটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা ছিল। ই-অরেঞ্জের অফিশিয়াল নাম ই-অরেঞ্জ ডট শপ। দুই বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া প্রতিষ্ঠান এটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।