পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সালিস-মীমাংসার নামে নিজেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারের বরখাস্ত আদেশ স্থগিতই থাকছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়ে উপরোক্ত আদেশ দেন। সেই সঙ্গে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ সম্বলিত স্থানীয় সরকার বিভাগের বিজ্ঞপ্তি কেন কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।
সালিস করতে গিয়ে নিজেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করে ফেলেন বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে শাহীন হাওলাদার উচ্চ আদালতে গেলে গত ৭ জুলাই ওই বরখাস্তের আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেন একই আদালত। গতকাল সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২৮ জুন চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের বরখাস্তের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার সালিস করতে গিযে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
গতকালের শুনানিতে শাহীন হাওলাদারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।