Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল ‘তামাদি’র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো কোনো বিচারপ্রার্থী নির্ধারিত সময়ে আদালতে মামলা বা আবেদন করতে পারেননি। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা করার নির্ধারিত সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এখন আদালতে মামলা বা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ‘বাংলাদেশ সরকার বনাম আলী কামরান রেজা’ শীর্ষক মামলায় (লিভ টু আপিল) ১৭ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ ওই সময় বেঁধে আদেশ দেন। আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই আদেশ দেয়া হয়। আদেশে বলা হয়, ৫ এপ্রিল বা এরপরে সময় শেষ হওয়া সাধারণ ও বিশেষ আইনের অধীন দেওয়ানি, ফৌজদারি বা প্রশাসনিক বিষয়ে পিটিশন, আবেদন, আপিল, রিভিশনসহ অন্যান্য কার্যধারা দায়েরে সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এদিকে হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে যেসব আবেদন দায়ের করা হয়েছে, সেগুলো অবশ্যই ৩১ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে যথাযথ নিয়মিত বেঞ্চে দায়ের করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। বলা হয, এতে ব্যর্থ হলে ভার্চুয়াল বেঞ্চ কোনো অন্তর্বর্তীকালিন আদেশ দিয়ে থাকলে, তা তাৎক্ষণিক বাতিল এবং আবেদনগুলো খারিজ হবে। সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই আদেশ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে এ আদেশ সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য মানা বাধ্যতামূলক। ঘটনা ও পারিপার্শ্বিকতায় মনে রাখতে হবে যে কোভিড–-১৯ শিগগিরই শেষ হবে-এমন নিশ্চয়তা নেই। বিচারপ্রার্থীদের অধিকার নিশ্চিত ও সময়সীমার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা দায়িত্ব। বিশেষ এই পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচারের জন্য বিদ্যমান আইনগুলো অবশ্যই দেখতে হবে। বিদ্যমান আইন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে বিশেষ আইনে নির্ধারিত সময় বাড়ানোর ক্ষমতা দেয়নি।
এ বিষয়ে এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন শনিবার বলেন, আপিল বিভাগের এই উদ্যোগের ফলে তামাদি অর্থাৎ বিলম্বে আপিল, মামলা ও আবেদন দায়েরের কারণে ভুক্তভোগী ও সংক্ষুব্ধপক্ষের মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আপিল, অর্থ ঋণ ও চেক প্রত্যাখ্যানসংক্রান্ত নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টে মামলা বা আবেদন দায়েরে সময়সীমা নির্ধারিত আছে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলায়ও রিভিশন, আপিল, আবেদন দায়েরে সময়সীমা নির্ধারিত আছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেক বিচারপ্রার্থী ও সংক্ষুব্ধপক্ষ নির্ধারিত সময়ে আবেদন দায়ের করতে পারেননি। কেননা, তখন সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম চলছিল।
বিচারপ্রার্থী ও সংক্ষুব্ধপক্ষের দুর্ভোগ এড়াতে ও সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আপিল বিভাগ মামলা ও আবেদন দায়েরে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ