পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএ’র উত্তরাস্থ কার্যালয়ে রোববার (২২ আগষ্ট) আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম সহ-সভাপতি মিরান আলী এবং পরিচালকবৃন্দ ব্যারিষ্টার শেহরিন সালাম ঐশী, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, রাজীব চৌধুরী, ব্যারিষ্টার ভিদিয়া অমৃত খান, মো. ইমরানুর রহমান, মিজানুর রহমান এবং সাবেক সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসিরসহ সাধারন সদস্যগন।
আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ভিডিও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম, আদর্শ ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ঘাতকরা ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করতে পেরেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ বাঙালি জাতিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা আজও যুগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক অর্জনে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের অনবদ্য অবদান। বাংলাদেশের উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে ও বেগবান করতে আগামী দিনেও পোশাক শিল্প অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে প্রধানমন্ত্রী কারখানা খোলা রাখার মতো সাহসিকতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলেই পোশাক শিল্প এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও এগিয়ে যেতে পারছে।
বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম বলেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ফিদেল কাষ্ট্রো বলেছিলেন ‘আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। তাই, হিমালয় দেখার সাধ আমার নেই।’ তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলো, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিলো। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক ব্যারিষ্টার শেহরিন সালাম ঐশী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙ্গালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা। তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী আজ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।
পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ইউএন এসেম্বলির মাধ্যমে দেশের ব্র্যান্ডিং করেছিলেন। তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তার স্বপ্ন , আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়।
পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিকা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের বিচার আমরা দেখতে চাই।
পরিচালক নাভিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শগুলো পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে হবে। তাঁর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন।
পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পোশাক রপ্তানিখাত তার নির্দেশনাকে অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে।
বিজিএমইএ এর সাবেক সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির বলেন, বঙ্গবন্ধু ৫৫ বছর বয়সের জীবনে ৪৬৯২ দিন কারাজীবন বরণ করেছিলেন দেশের মুক্তির জন্য। তাঁর রেখে যাওয়া কাজ করছেন তারই যোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইনশাল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
আলোচনা পর্বে বক্তারা জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরো উদ্যম ও দেশ প্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ এর সাধারন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ও সাধারন সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত মাগফেরাত করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।