বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলার তেতুলিয়া নদীতে বালু কেটে উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। অব্যাহত বালু কেটে উত্তোলনের কারনে নদীর তলদেশ গভীর হয়ে পানির স্রোত প্রবাহের কারনে নদী তীর ভেঙ্গে যাচ্ছে।নদী পার ভাঙ্গার কারনে অসহায় হয়ে পরছে মানুষ। দিনে দিনে শান্ত তেতুলিয়া নদী ভেঙ্গেই চলছে। নিঃশ্ব হচ্ছে শত শত অসহায় পরিবার । নির্বাক অসহায়ের মতে মুখ বুজে আছে সাধারন মানুষ গুলো। বিধাতার কাছে দু হাত তুলে নালিশ দেয়া ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই। এমনই অবস্থা বাঘমারা ব্রীজ থেকে ভোলার সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ভোলা ১ আসনের এমপি আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের বাড়ির পিছনের নদী পর্যন্ত। এ অপ্রতিরোধ্য বালু ব্যাবসায়ীরা কোন অদৃশ্য শক্তিরূপ কারনে বালু কাটছে তা জনমনে প্রশ্ন। এর কারনে সরকারের অনেক বদনাম হচ্ছে। বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, তেতুলিয়া নদীর বালুর উপর ভিত্তি করে দক্ষীন দিঘলদি ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন একাধিক বালু মহাল । এখানে সব লোকাল বালুই আসে তেতুলিয়া নদী থেকে। একটি সিন্ডিকেট এ ব্যবসার পিছনে।স্থানীয়রা মনে করছে কোন অদৃশ্য শক্তি পিছনে কাজ করছে বলেই এ বালু কাটার কাজ অব্যাহত রেখেছে ক্ষমতার দাপটে।ঐ সিন্ডিকেটের হোতারা একটা সুযোগ নিচ্ছে। এমন অভিযোগে পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। কোনভাবেই থামছেনা এ বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, হারুন গাজী, ফারুক মাঝি, নুরনবী, বজলু হাওলাদার ও জামাল মেম্বার, তাদের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলে বালু উত্তোলনের কাজ প্রতিদিন বড় বড় জাহাজে করে বালু পাড়ে এনে খালাশ করা হচ্ছে। আর এ বালু চলে যায় বিভিন্ন বালু মহালে ও ভোলার বিভিন্ন সরকারি রাস্তার কাজে। মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও শান্ত নদী তেতুলিয়ায় বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।
বালু কাটার ফলে নদীর তলদেশ গভীর হয়ে তীর ভেঙ্গে পরছে। শান্ত তেতুলিয়া নদী এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। তেতুলিয়া নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতংক। প্রতিদিন সর্বহারা হচ্ছে এ জনপদের মানুষগুলো। ভাঙ্গনের তীব্রতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে সর্বহারা মানুষ গুলো এখন অসহায় হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সু দৃষ্টি কামনা করছে।
এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কোন কর্তা ব্যাক্তিরা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।