দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কিছুটা কমে এসেছে। ৫০ দিন পর করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১৩০-এর নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২০ জন। এর আগে ২ জুলাই সারাদেশে ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টার ১২০ জনকে নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মোট ২৪ হাজার ১৪৩ জন মৃত্যুবরণ করলেন। একই সময়ে নতুন ৩ হাজার ৯৯১ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে শুক্রবার ১৪৫, বৃহস্পতিবার ১৫৯, বুধবার ১৭২, মঙ্গলবার ১৯৮, সোমবার ১৭৪ ও রোববার ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এরপর থেকে প্রায় এক মাস প্রতিদিন ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২শর নিচে নামা শুরু করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬৬৬ জন। এদের নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ জন। এতে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ্যতার হার বেশি।

এতে বলা হয়, একদিনে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৩ হাজার ৪৯৩টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮৮২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৫৯টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুলেটিনে জানায়, একদিনে মারা যাওয়া ১২০ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৯, আর নারী ৫১ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৬ হাজার ৪৬৫ জন এবং নারী ৮ হাজার ৬৭৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে এক শিশু।

অধিদফতর জানায়, মারা যাওয়া ১২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ৯ জন, খুলনা বিভাগের ১৫ জন, বরিশাল বিভাগের ৩ জন, সিলেট বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের ৭ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ৬ জন। ১২০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জন এবং বাড়িতে একজন।

দেশে করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাব ঘটে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা জানা যায় ১৮ মার্চ। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।