Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিলুপ্তির পথে গরুর হাল

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

মোড়গের ডাকে ঘুম থেকে ওঠে কাঁধে লাঙ্গল, গরু, জোয়াল, মই নিয়ে মাঠে যেত জমিতে হালচাষ করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার যুগে নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোয়ায় বদলে দিয়েছে কৃষকের কৃষি জীবন। সে কারণে চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সকালবেলা কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল আর জোরা গরুর দরি হাতে মাঠের পানে যেতে দেখা যায় না কৃষকদের। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ। কৃষি প্রধান দেশে প্রাচীন এই ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে লাঙ্গল-জোয়াল ও কৃষকের কন্ঠে ভাটিয়ালি গান। বাংলার রুপ খুঁজতে গেলে কৃষি উপকণের কথা যেমন আসবে, তেমনি তা থেকে বাদ পড়ার মতো নয় এই হালের গরু। এক সময় দেশের বিভিন্ন উপজেলা তথা গ্রাম-গঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন করা হতো হালচাষ করার জন্য। আবার কেউ কেউ গবাদিপশু দিয়ে ধান মারাই, জমি চাষ, তেল মারাই ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করতো। বলতে গেলে হালচাষ করা একটি পেশা ছিল নিজের জমি চাষের পাশাপাশি অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে ফিরে পেত তাদের পরিবারের সচ্ছলতা। কিন্তু আধুনিকতার এই ছোয়ায় তা পরিবর্তন এনেছে এখন সময় ও শ্রম বাঁচাতে পাওয়ার টিলার কিংবা ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করছেন কৃষকগণ।
চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা গ্রামের মাজেদুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে হালচাষ করতাম বাড়িতে ২-৩ জোরা বলদ গরু ছিলো। চাষের জন্য এক জন্য দরকার হতো ১ জোড়া বলদ, কাঠ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি লাঙল, জোয়াল, মই ইত্যাদি। আগে গুরু দিয়ে হালচাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো আবাদও ভালো হতো। এখন নতুন মেশিন এসে আমাদেও গরু হারের কদও কমে গেছে সবাই মেশিন দিয়ে চাষ করে। আগে ১৮/২৫ টাকায় হাল বিক্রি করতাম কিন্তু এখন গরু মহিষ দিয়ে চাষাবাদ কেউ করতে চায় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ