পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হত্যা, গাড়ি চুরি, চাঁদাবাজিসহ প্রায় একডজন মামলায় আসামী জামাল হোসেন মিয়া এখন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য। জানা যায়, জামাল হোসেন একসময় আওয়ামী লীগের কর্মী থাকার সুবাদে সাজেদা চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু জামালের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও বিভিন্ন অপকর্মের কারণে অল্পদিনের মধ্যেই তাকে বাদ দেয়া হয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানায় চুরির গাড়ি বিক্রির অভিযোগে মামলা করেন সালাহ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এই মামলায় ২ নম্বর আসামী করা হয় এই জামাল হোসেন মিয়াকে। মামলার প্রধান আসামি জবান বন্ধিতে জামাল হোসেন মিয়ার কথায় এমন কাজ করেছে বলেও সাক্ষ্য দিয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) এসআই মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জাল কাগজপত্র ও নম্বর প্লেট তৈরির ওই ঘটনায় করা মামলার তিন আসামির মধ্যে সুভাষ চন্দ্র দে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। সিরাজুল ইসলাম জামিন নিয়েছে। জামাল হোসেন মিয়া পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ প্রতারণার ঘটনা নিয়ে আমাদের ডিবির একাধিক দল কাজ করছে। পুরো চক্রটিতে কারা আছে, কারা জাল কাগজ তৈরি করে এবং চট্টগ্রামে ও দেশের অন্য কোথাও তাদের চক্রের সদস্যরা সক্রিয় কিনা পুরো বিষয়টা তদন্ত করা হচ্ছে।
বেপরোয়া এই জামালের নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর নগরকান্দায় তালমার মোড়ে সংসদ উপনেতার গাড়ীতে হামলা করা হয়। উক্ত ঘটনায় নগরকান্দা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। জামাল-কামালের বাহিনী তালমার স্কুলছাত্র অন্তর ও শাহজাহান হত্যার সাথে জড়িত বলেও পুলিশের তথ্যে উঠে এসেছে। এই হত্যা মামলার পর ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথা নির্বাচনী এলাকায় ভয়ংকর হিসেবে পরিচিত জামাল-কামাল বাহিনীর হাতুড়িপেটায় সোবহান মাতুব্বর (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সোবহান মাতুব্বর হত্যায় জড়িত জামাল-কামালের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। নগরকান্দা ও সালথায় জামাল-কামাল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপরোয়া যে তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ টুঁ শব্দ করতে সাহস পায় না। এই সব অভিযোগ থাকার পরেও কেন আওয়ামী রীগের উপ কমিটিতে রাখা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী একাধিক নেতারাও।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে কি লোকের অভাব পড়েছে? যে নানা অভিযোগে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদে আনতে হবে। অনেক ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাদের জায়গা হয় না অথচ খুন খারাপি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের এখানে জায়গা দিতে হয় পদ দিতে হয়? এদের দলে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।
২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক থাকা সময়ে তথ্য ও গভেষনা উপ কমিটিতে সদস্য পদে আসেন জামাল হোসেন মিয়া। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে সেলিম মাহমুদ দায়িত্ব পাওয়ার পরে ২০২১ সালের উপ কমিটিতে আবারও নাম লেখান এই জামাল হোসেন মিয়া। জানা যায়, আফজাল হোসেন গত কমিটির ১৫ জনের নাম দিয়েছিলেন নতুন কমিটিতে স্থান দিতে। তার মধ্যে জামাল হোসেন মিয়ার নামও ছিল। সেই হিসেবে বর্তমান কমিটিতে সে আছে। এ বিষয়ে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে একাধিক ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।