পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জয়গোপালের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক আইনপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানিতে যুক্ত ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন,তাকে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার করা না হয়ে থাকলে জয়গোপালের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই।
একেএম আমিন উদ্দিন জানান, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ায় এনু-রূপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। ওই বাসায় টয়লেটে স্বর্ণের কমোড পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। পরে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৩ জানুয়ারি এনু ও রূপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তাদের জবানবন্দীতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় তাকে গত বছরের ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া, সুত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় করা পৃথক চার মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়। গেন্ডারিয়া থানায় ওই বছরের ২৫ মে একটি (মামলা নম্বর ২৮), সুত্রাপুর থানায় ২৬ সেপ্টেম্বর দুটি (মামলা নম্বর ২৭ ও ২৯) এবং ওয়ারী থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি (মামলা নম্বর ৩৪) মামলা করা হয়। গতবছর ২২ জুলাই এসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি। এছাড়া দুদকও তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দেয়। গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দুটি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রূপনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।