মাদারীপুরের সদর উপজেলা চরকালিকাপুর গ্রামে যৌতুকের জন্য ইভা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। ইভা বেগম ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের মেয়ে।
ইভার স্বজনদের অভিযোগ, ইভা ১ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করে একই এলাকার সিরাজ বেপারীর ছেলে রিয়াজ বেপারীকে। বিয়ের ৬ মাস হতে না হতেই যৌতুকের জন্য ইভাকে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা। অনেকবার টাকা দিয়েও ছেলের পরিবারকে খুশি করতে পারেনি। সর্বশেষ ইভার পরিবারের কাছে যৌতুকের জন্য নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে রিয়াজ ও তার পরিবার। যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে গত ৭ আগস্ট সকালে তাকে কোমল পানীয়ের সাথে কীটনাশক খাইয়ে অচেতন অবস্থায় বাবার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইভার পরিবারের লোকজন মেয়েকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। অবস্থার একটু উন্নতি ঘটলে ৯ আগস্ট ইভার স্বামীর পরিবার এসে ইভাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরেই তার অবস্থা আবার খারাপ হতে থাকে। পরে ইভার স্বামীর পরিবার আবার তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়। বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি অবস্থায় গত সোমবার সকালে ইভা মারা যায়। স্বামী রিয়াজ ও তার পরিবার ইভার বাসার সামনে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইভার পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করে। ইভার চাচা সবুজ বলেন, ৪ লাখ টাকা আর ৪ ভরি সোনার জন্য ইভাকে মেরে ফেললো রিয়াজ ও তার পরিবার। আমরা ইভা হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।