Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুনের বদলে খুনের শপথ

হিজলা (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য বার বার কারাবরণকারি নুরু বাবুর্চি (৫০)কে খুন করে দুর্বৃত্ত চক্রের সদস্যরা। এ ব্যাপারে নুরু বাবুর্চির বড় ভাই দুলাল বাবুর্চির স্ত্রী হাসিনা ও মেয়ে ছালমা ইনকিলাবকে জানায়, নুরু বাবুর্চির দাফন শেষে তার দস্যু ছেলেরা ইমরান (২১) এনাম (১৯) এহসান (১৭) স্থানীয় মেম্বারসহ উপস্থিত লোকজনদের সম্মুখে বাবার কবরের মাটি ছুয়ে দুলাল বাবুর্চির পরিবারবসহ বাবার অন্যান্য খুনিদের খুন করবে বলে শপথ করে গত ১১ আগস্ট। এতে গতকাল পর্যন্ত দুলাল বাবুর্চির পরিবারবর্গে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে মেম্বার কালাম ব্যাপারির কাজে জানতে চাইলে এর সততা মিলে। কিন্তু নুরুর ছেলে এনামকে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে খুনি মহল আমাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট কথা বার্তা ছড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, গত ৯ আগস্ট বাবার নিখোঁজ সম্পর্কে হিজলা থানায় তিন ভাই ও মা জিডি করতে গেলে আমাদের জিডি না নিয়ে শাসিয়ে থানা হাজতে রেখে পরের দিন জেল হাজতে পাঠায়। মাকে বাবার লাশের সন্ধান তার আইনজীবীকে জানালে তারা জামিনে এসে বাবার দাফনে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয় বলে জানান।
এ ব্যাপারে ওসি হিজলা অসিম কুমার সিকদারকে জানতে চাইলে সে জানান তাদের বিরুদ্ধে খোকন বাবুর্চি বাদি হয়ে ৬ আগস্ট মামলা করেন। সে মামলায় তাদেরকে চালান দেই।
ওসি আরো বলেন, তারা মুলাদি থাকে তাই জিডি এখানে নিতে পারিনা। দুলালের পরিবারবর্গে আতঙ্ক বিরাজ করছে এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন এ ব্যাপারে কেউ কিছু জানাননি। নুরুর মা জামিনা (৭০) খাতুন জানান, আমার ছেলেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে খুন করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নুরু দস্যু চক্রের সক্রিয় সদস্য ছিল। তার প্রথম স্ত্রী পান্নার সাথে বনিবনার অভাবে তার শ্বশুর মহল তার স্ত্রীকে তার কাছে না দেয়ায় দাদা শ্বশুরের কান উল্টোভাবে কর্তন করে নেয় নুরু। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। নুরুর খুনের মামলায় আয়ু এসআই মুলাদি কাইয়ুম ইনকিলাবকে জানান, পত্তনিভাঙা নদীতে ভাসমান অবস্থায় গত ১০ আগস্ট তার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এব্যাপারে এসআই আরো বলেন, তার স্ত্রী খাদিজা জানান তার স্বামীকে ৭ আগস্ট বিকালে করাত কাসেম নামের এক লোক ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। গত ১১ আগস্ট খাদিজা বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন। মামলার আসামির সংখ্যা ৯ জনের মধ্যে অধিকাংশই স্বজন। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি থানা পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ