বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে হঠাৎ সেতুটি মাঝখান থেকে ধসে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মানুষ। এছাড়া, বিভিন্ন পন্যবাহী নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ভোররাতে সেতু ধসের কারণে অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে।
এক বছর আগেই এই সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার পর একশ ফুট দূরত্বেই বিকল্প হিসেবে আরেকটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তারপও ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল বন্ধ হয়নি। হঠাৎ সেতু ধসে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রায়েন্দা বাজারের নৈশ প্রহরী মো. আউয়াল মিয়া জানান, ভোর পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে সেতুটি ভেঙে পড়ে। তখন বাজার বা সেতুতে কোনো লোকজন ছিলনা। যে কারণে অন্য কোনো ক্ষতি হয়নি। সেতুসংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম ও মো. ডালিম হাওলাদার জানান, রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ব্রিজ থেকে চলাচল করে। দিনের বেলায় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ মারা যেতো।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে রায়েন্দা খালের ওপর এলজিইডি বিভাগের মাধ্যমে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে (লোক কষ্ট আয়রণ ব্রিজ) লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই মধ্যে সেতুর লোহার পিলারগুলো নিচ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষয় হয়ে যায়। এছাড়া, আরসিসি তিনটি স্প্যানে ভয়াবহ ফাটল ধরে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেছে। সেই থেকে প্রায় ২৩বছরে মধ্যে একবারও মেরামত না করায় আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুটি।
শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন জানান, পরিত্যাক্ত সেতুাটি ভেঙে ওই একই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনাটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এক বছর আগেই সয়েল টেষ্ট সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া, সংযোগ সড়কের জন্য জায়গা না থাকায় সেতু নির্মাণ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।