বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে প্রথম মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম চালু হয় সিলেট নগরীতে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় এ কার্যক্রম। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকার সড়কের ওপরে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে মাটির নিচ দিয়ে সংযোগ চালু করা হয় বিদ্যুতের। পরে জঞ্জালবিহীন হয় নগরীর আম্বরখানা থেকে বন্দরবাজার এবং পুর্বপশ্চিম জিন্দাবাজার এলাকার ব্যস্ততম রাস্তা। এবার নগরীর মোট ১১টি গুরুত্বপূর্ণ
রাস্তার নিচ দিয়ে লাইন নিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বরাবরে একটি সরকারি চাহিদাপত্র (ডি.ও লেটার) প্রেরণ করেছেন সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। গত সোমবার (১৬ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রেরিত ওই চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্তমানে পিডিবি কর্তৃক সিলেট নগরীতে চলমান আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ কেবল স্থাপন প্রকল্পের ডিপিপি রিভাইসড করা হচ্ছে এবং রিভাইসড ডিপিপি-তে নগরীর প্রধান প্রধান ১১টি সড়ক- যার দৈর্ঘ্য ১৪.৬৬ কিলোমিটার অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ৪ জুলাই ১৯.০০.০০০০,০১০.০১২.০৬.২০২১/৭৫ নং স্মারকে পুরো সিলেট নগরীর বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে স্থাপন করার জন্য প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদকে পত্র প্রেরণ করেছিলাম আমি। এই অবস্থায়, আমার নির্বাচনী এলাকা সিলেট নগরীর সংযুক্ত তালিকায় উল্লিখিত এলাকাসমূহে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার সংযোগ স্থাপন এবং পরবর্তীতে পুরো সিলেট নগর এলাকার বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে আনার জন্য বিশেষভাবে অনরোধ করছি আপনাকে।’’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি অনুযায়ী- প্রথম পর্যায়ে সিলেটের সাড়ে ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় টানা হবে ভূ-গর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প (বিউবো)-এর এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে বিউবো’র প্রকল্প পরিচালক (অ. প্র. প্র.) পল্লবী জামান বলেন, প্রথম সিলেট নগরীতে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন টানার প্রকল্প শুরু হয়। পরবর্তীতে কাজের এলাকা বেড়ে যাওয়ায় বাজেটের চাইতে খরচ বেশি হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখি আমরা। পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে প্রেরণ করেন দুটি ডি. লেটার। এর মধ্যে সোমবার একটি। চিঠি পাওয়ার পরপরই সচিব স্যারের নির্দেশে আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছি আমরা । বৈঠক শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ‘সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন’ শীর্ষক ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর কিছু এলাকার বিদ্যুৎ লাইন ভূগর্ভে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়। বিউবির অর্থায়নে ও সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পরীক্ষামূলক (পাইলট) প্রকল্পে নগরীতে ১১ কেভি ২৫ কিলোমিটার, শূন্য দশমিক ৪ কেভি ১৮ কিলোমিটার ও ৩৩ কেভি ২ সার্কিট কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার বিদ্যুৎ সাবস্টেশন কেন্দ্র থেকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার ও কোর্ট পয়েন্টে হয়ে সিলেট সার্কিট হাউস পর্যন্ত করা হয়েছে স্থাপন। আরেকটি লাইন চৌহাট্টা থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত যাবে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শহরে প্রাথমিকভাবে প্রায় সাত কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে। এতে ৫০০ আরএম স্কয়ার কেবল ক্যাপাসিটির তার করা হচ্ছে ব্যবহার। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কাজটি ২০১৯ সালের বছরের মার্চ মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে কাজের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ হচ্ছে না স্মার্ট সিলেট নগরীর গড়ার এ কাজ। পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পুরো শহরের বৈদ্যুতিক লাইন পাতালে চলে যাবে এবং সত্যিকার অর্থেই একটি স্মার্ট নগরীর রূপ পাবে সিলেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।