Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পরীমণির পরিণতি এবং গণমাধ্যমের দায়

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

‘আমরা বাঙালিরা হুজুগে জাতি; সবাই হুজুগে চলি।’ প্রশ্ন হচ্ছে হুজুগ ছড়ায় কে? গণমানুষ খবর পায় গণমাধ্যম থেকে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ। সেখানে খবর সরবরাহ করে সংবাদকর্মী। প্রবাদে আছে ‘মাছের পচন ধরে মাথা থেকে’। তাহলে কি সংবাদকর্মীদের মাথায় পচন ধরেছে? দেশের বুদ্ধিজীবীরা অনেক আগেই বিক্রি হয়ে গেছেন; এখন তারা দলদাস-দাসী। সংবাদকর্মী হিসেবে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে। এ আইন সত্যিই সাংবাদিকদের কলম-কণ্ঠ চেপে ধরেছে। প্রযুক্তির প্রসারে দেশে গণমাধ্যমে বিপ্লব ঘটে গেছে। তারপরও আমরা কি সঠিকভাবে সংবাদ প্রচার করছি? পাঠক-শ্রোতা সঠিকভাবে খবর পাচ্ছে? নাকি ‘কান নিয়েছে চিলে’ কবিতার মতো সাংবাদিকরা চিলের পিছে ছুটছি? আমরা সংবাদ কর্মীরা সংবাদ প্রচারের নামে গণমাধ্যমকে কেন ‘প্রচার মাধ্যমে’ পরিণত করছি? কেন মহান পেশা সাংবাদিকতাকে ‘কর্পোরেট হাউজে সমর্পণ’ করছি? নিজেদেরকে প্রভাবশালী ও প্রশাসনের কিছু ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের ‘নাচের পুতুল’ করে ফেলছি? অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান গণমাধ্যমের আচরণ নিয়ে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আগে মানুষ মিথ্যা বলতেন, গণমাধ্যম সত্য খুঁজে বের করত; এখন গণমাধ্যম মিথ্যা বলে, মানুষ সত্য খুঁজে বের করে’। নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে আমরা যে সাংবাদিকতা করছি তা কি সত্যিই নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সঙ্গে যায়? পরীমণির পরিণতি কি হবে সেটা আদালতের উপর ছেড়ে দেয়া ভালো। কিন্তু তাকে মহাসমারোহে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে যে প্রক্রিয়ায় খবর প্রচারে প্রতিযোগিতা করেছি, ক্যামেরা ট্রায়াল করেছি তা কি গোয়েবলসীয় পর্যায়ে পড়ে না? এটা কি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা?

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অদৃশ্য এ ভাইরাসে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছেন। নমুনা পরীক্ষা কম; তবুও সংক্রমিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এখনো মানুষকে পর্যাপ্ত টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন নিত্যদিন। এ অবস্থায় গত ৪ আগস্ট টেলিভিশনে লাইভ ভয়াবহ দৃশ্য দেখলো দেশ-বিদেশের লাখ লাখ দর্শক। দৃশ্যটা ভয়ঙ্কর জঙ্গী নেতা সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই ও সায়খ আবদুর রহমানকে গ্রেফতার অভিযান দৃশ্যের মতোই। দেশের সবগুলো টিভিতে লাইভ দেখানো হচ্ছে নায়িকা পরীমণিকে গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছেন, আতঙ্কিত পরীমণি ফেসবুক লাইভে কথা বলছেন, ফ্ল্যাটের নিচে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড়। বিপুল পরিমাণ মদের খালি বোতল, মাদক, কিছু ক্যাসিনো সরঞ্জাম এবং কিছু ভরা বোতলসহ পরীমণিকে গ্রেফতার করা হলো। যেন হিন্দি সিমেনার দৃশ্য। এরপর শুরু হলো গণমাধ্যমে প্রচারণার প্রতিযোগিতা! পরীমণিকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব তথ্য দিয়েছে সবগুলোই প্রচার করছে গণমাধ্যম। কোনো সাংবাদিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে সংগ্রহ করা তথ্য দর্শকদের জানার চেষ্টা করেছে এমন দেখা যায়নি। দেখা গেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব তথ্য দিচ্ছেন সেগুলোই সাংবাদিকদের খবরের একমাত্র পুঁজি। সেগুলো কেবল রগরগে করে প্রচার করার প্রতিযোগিতা। কিন্তু এই করোনাকালে পরীমণিকে গ্রেফতারের স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করা যে ‘সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ অবমাননা’ সে প্রশ্ন তোলার প্রয়োজন মনে করেনি কোনো গণমাধ্যম কর্মী। পরীমণি এর আগেও একাধিক বার পুলিশের ডাকে নিজেই থানা ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে গেছেন। তাকে এভাবে গ্রেফতার না করে ডাকলেই থানায় চলে যেতেন। পরীমণির বাসায় যে ‘মদের ছোট্ট বার’ আবিষ্কার হলো সেগুলো কি একদিনে সেখানে গেছে? সেখানে কি মদ কেনাবেচা হতো? বার কাকে বলে? ইসলাম ধর্মে মদ হারাম হলেও এদেশে মদ খাওয়া কি অপরাধ? গুলশান-বারিধারা-বনানীতে বসবাস করেন উচ্চবিত্তদের বাসায় মদ থাকা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। না হলে সরকার মদের লাইসেন্স দিচ্ছে কেন?

পরীমণিকে গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বললেন অভিজাত পাড়ায় এরা ‘রাতের রানি’। মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করল সেই বক্তব্য। প্রশ্ন হলো পরীমণি অপরাধ করে থাকলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। কিন্তু জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভুক্ত রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী হয়ে দেশের একজন মহিলা নাগরিককে ‘রাতের রানি’ অবিহিত করা কি সভ্য দেশে সম্ভব? ওই সব অভিজাত এলাকায় শুধু পরীমণিরাই থাকেন না; ভদ্র ঘরের উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরাও পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তারা চাকরি, ব্যবসাসহ নানা পেশায় জড়িত। তারাও দিনরাতে চলাফেরা করেন। তারা কি বার্তা পেলেন?

পরীমণিকে নিয়ে ঢাকঢোল পেটানোর সময় দেখা গেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা পরীমণির সঙ্গে প্রেম-পিরিতিতে মজে গেছেন। তিনি প্রায়ই পরীমণির সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেন, জন্মদিনে কেক খাওয়া তার অশ্লীল দৃশ্যের ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল! পরীমণিকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধ প্রমাণের আগে ‘অপরাধী বানানো’ এবং সংবাদকর্মীদের ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’ অতি প্রচারণা কোনোটাই মানুষের কাম্য ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মতামত দেখলে সেটা বোঝা যায়। গত বছর তিন তারকা হোটেল থেকে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেত্রী সামিমা নূর পাপিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর, সরকারি চাকুরে ডা. সাবরিনা, প্রতারক ডা. ইশরাত রফিক ঈশিতার অপরাদের সঙ্গে পরীমাণির অপরাধকে মেলানো যাবে না। পরীমণির বাসায় মদ ও ক্যাসিনোসামগ্রী পাওয়া গেছে। এটা করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো অপরাধ নয়। অপ্রিয় হলেও সত্য যে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনযন্ত্রের বদৌলতে দেশে প্রচুর মানুষ কাঁচা টাকার মালিক হয়েছেন। নব্য ধনীক শ্রেণি গড়ে উঠেছে। তাদের কেউ কেউ ‘জলসা ঘর’ সংস্কৃতি চর্চা করেন। কেউ কেউ বেলেল্লাপনায়ও মেতে উঠেন। সেগুলো তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরের বাইরে থাকার কথা নয়। পরীমণিকে ‘রাতের রানি’ হিসেবে অবিহিত করার পর কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয় তাহলে ‘রাতের রাজা’ কারা? কারা নিত্যরাতে পরীমণিদের ‘জলসা ঘরে’ যায়? তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। ইউটিউবের বদৌলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যকে দেশের মানুষ ‘রাতের রাজা’ জানতে পারলেও অন্য রাজাদের সম্পর্কে জানতে পারছে না কেন? সবাই জানে দেশের অভিজাত পাড়াগুলোতে কি হয়; কারা পরীমণির মতো ব্যাক্তিদের জলসাঘরে নিয়মিত যায়। তাহলে তাদের নাম গোপন রাখা কি ম্যাসেজ দেয়? পরীমণিরা দুর্বল গ্রাম থেকে উঠে আসা গরিব ঘরের মেয়ে বলেই কি তাদের বলীর পাঠা হচ্ছে?

পরীমণি মানসম্মত সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলে শুনিনি। তিনি একজন লারেলাপ্পা নায়িকা। অবশ্য গত এক যুগে ঢাকায় লারেলাপ্পা ছাড়া দেখার মতো ছবি নির্মিত হয়েছে এমন তথ্য নেই। কিন্তু তিনি একজন অভিনয় শিল্পী এবং নারী। এছাড়া পরীমণিকে সমর্থন করায় চয়নিকা চৌধুরী নামের সিনেমা পরিচালককে রাস্তা থেকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছিল; পরবর্তীতে জানানো হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ধরা হয়েছে। তাকে ছেড়ে দেয়া হলো কয়েক ঘণ্টা পর। কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এভাবে রাস্তা থেকে ধরে আনার সাফল্যের দৃশ্য জাতি বহু যুগ পর দেখল।

লারেলাপ্পা নায়িকা পরীমণি কাঁচা টাকার মালিক হওয়ায় আচরণের ‘খাজনার চেয়ে বাজনা’ বেশি। তারপরও এই নায়িকার মধ্যে মানবিক গুণাবলি রয়েছে। তিনি প্রতিবছর ঈদুল আহজায় এফডিসির দুঃস্থ শিল্পীদের জন্য কয়েকটি করে গরু কোরবানি দেন। এফডিসিতে কর্মরত গরিব কর্মকর্তা ও কর্মচারী যাদের কোরবানি দেয়ার সমর্থন নেই তাদের পরিবারকে সে গোশত ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়া হয়। এফডিসিতে আরো বহু প্রভাবশালী শিল্পীরা রয়েছেন। বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক ওই নায়ক-নায়িকারা কি এফডিসির গরিব-দুঃস্থ কর্মীদের ছেলেমেয়েদের কোরবানির ঈদে গোশত দেয়ার চিন্তা করেছেন? প্রত্রিকায় দেখলাম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করেছে তড়িঘড়ি করে। হায় আল্লাহ! এরা শিল্পী না ভিলেন? পরীমণি অপরাধ করলে তার বিচার হবে আদালতে। কিন্তু একজন শিল্পীর পাশে অন্য শিল্পীরা না দাঁড়িয়ে তাকে সংগঠন থেকে বের করে দেয়া যেন বাংলাদেশের ঢাকাই সিনেমার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার নামান্তর। এই ঢাকাই সিনেমার মানোন্নয়ন, সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখার চেয়ে সংগঠন নিয়ে যাদের মাতামাতি বেশি তারাই মূলত এটা করেছেন। এদের সম্পর্কে তেমন বলার নেই। এরা জাতিকে কি দিয়েছেন? এরাতো দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার পক্ষ্যের নির্বাচনে নিজেরা রাজনৈতিক দলের হয়ে ট্রাকে ট্রাকে রাস্তায় ঘুরে আনন্দের বাজনা বাঁজিয়েছেন। অথচ এক সময় এদেশের কবি, সাহিত্যিক-শিল্পীরা গণমানুষের অধিকার আদায়ে ত্যাগ শিকার করেছিলেন। ফলে এরা যে মানের সিনেমা তৈরি করেন তা দেখতে দর্শক সিনেমা হলে যান না। ফলে গত কয়েক বছরে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। সিনেমা হল মালিকরা মনে করছেন ‘সিনেমা’ ব্যবসার চেয়ে পান-সিগারেটের ব্যবসা সম্মানজনক। দেশের দর্শকরা ভারতের হিন্দি, ইংরেজি এবং কোলকাতার বাংলা ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

পরীমণিরা গ্রাম থেকে উঠে আসা নায়িকা। সিনেমা আর তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে পরীমণির মতো নারীদের ‘ভোগের পণ্য’ বানাচ্ছেন কারা? তাদের মুখোশ খুলে ফেলা হচ্ছে না কেন? কন্যা-জায়া-জননীকে বাণিজ্য ও ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহারের ধারা নানাভাবে পরিপুষ্ট করা হচ্ছে অনেকদিন ধরে। দেশজ শিল্প-সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে হিন্দুত্ববাদী সামাজিক অনাচারের ভোগবাদী সংস্কৃতি প্রবল করে তোলা হচ্ছে আকাশ সংস্কৃতির নামে। ওই অপসংস্কৃতির জন্যই অর্থ, বিত্ত, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অশুভ আঁতাতের প্রতিফলন যখন ন্যাক্কারজনকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে; তখন সব দায়ভার নারীর ওপরই অর্পণের বিশাল আয়োজন যেন চলছে। গ্রাম থেকে উঠে আসা নিম্নমধ্যবৃত্তি ঘরের মেয়ে পরীমণির এই পরিণতি তার উদাহরণ। আদালতে দোষী সাবস্ত হওয়ার আগেই ক্যামেরা ট্র্যায়ালে তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার পরও দেশের নারীর অধিকার আন্দোলনকারী নারী নেত্রী, এনজিও কর্মীদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। করোনায় বিদেশি পয়সা আসা কমে যাওয়ার তারা হয়তো অর্থ সঙ্কটে। তবে পরীমণি গ্রেফতারের খবর প্রকাশের ধরণ নিয়ে মহিলা পরিষদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আবার ঢাকাই সিনেমার শিল্পীদের সংগঠন তার সদস্যপদ স্থগিত করলেও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্যাডে লেখা বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ হাসান ইমাম, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদারের মতো সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্বরা। তারা বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র জগতের এক অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নব্য-ধনিক সমাজের যে চেহারা ফুটে উঠেছে তা আমাদের গভীরভাবে চিন্তিত, উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করেছে। নারীর সাংস্কৃতিক অধঃপতনের শিকার হয়ে ওঠার জন্য যারা তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে’।

নায়ক সাকিব খানসহ কয়েকজন শিল্পী পরীমণির গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছেন। এছাড়াও গত ১৪ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ নাগরিকজনের ব্যানারে মানববন্ধন করে পরীমণির মুক্তি দাবি করা হয়। এতে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অংশ নিতে দেখা যায়। বিষয়টা হচ্ছে পরীমণি অপরাধি হলে তার বিচার আদালতে হবে। কিন্তু তাতে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার ও চিহ্নিত করা হচ্ছে তা দেশের গোটা নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর নয়কি? যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার নারী; সে দেশে এমন কন্যা-জায়া-জননীর অবমাননা মেনে নেয়া যায় না। আর গণমাধ্যমের ভ‚মিকায় সত্যিই আমি মর্মাহত।



 

Show all comments
  • অণুচক্রিকা ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৫ এএম says : 0
    পরীমনির পেছনে লাগা এগুলো লেইম সাংবাদিকতা। এদের তৈরীর কারিগরদের পিছনে লাগুন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন, না হলে পরিমনি যাবে, সোনামনি আসবে, আর এভাবে চলতেই থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jabed Ahmed ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৬ এএম says : 0
    পরীমনি এলকোহলে আসক্ত এই আশচর্য এইটা নিয়া হওয়ার কিছু নাই। যারা সমাজের উচু শ্রেনীর মানুষ যারা পরীমনির সাথে 5 মিনিটের সুখের জন‍্য টাকার বসতা নিয়া পরীমনির পায়ে লুটিয়ে পরে তাদের খুজে বের করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Fatima Zannat Kochi ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৭ এএম says : 0
    যে দেশে আলেম ওলামাদের কে গুম করা হয়, আটক করা হয়, কুরআনের আলোচনা করলে, কুরআনের পথে ডাকলে। যে দেশে আলেমদের বন্দী করে ব্যান্ড বাজিয়ে মসজিদ উদ্বোধন করা হয়, সে দেশে এমন সব জ্বীন পরীতে ভরে যাবে এটা স্বাভাবিক।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdour Rouf Miah ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৮ এএম says : 0
    ১৯ বোতল মদ আর কিছু পুরাতন বোতল পাওয়া গেছে। এসব বন্ধ করে করোনা মোকাবেলায় সময় দিলে মানুষের উপকার হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Biplob Biswas ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
    পরি বাদে দেশের কোন মন্ত্রি,এমপি আমলা,সাংবাদিক,পুলিশ, জীবনেও ড্রিংক করেনই নি,বিশ্বাস করেন তাদের ঘরে সার্স করলে জীবনেও এসব পাওয়া যাবে না কিছু ঔষধ আর জুসের বোতল ছাড়া।।পরি বাদে দেশের সবাই ভালো
    Total Reply(0) Reply
  • শিক্ষিত বেকার মোছাদ্দেক আলী ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
    যারা পরীমনির মতো অনেককেই বানিয়েছেন এবং নানাভাবে ইউজ করেছেন তারাই আবার তাদেরকে নানান কারণে ফাঁসিয়ে বা ধরিয়ে দিচ্ছেন।আর তারা জনগণকে এভাবে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে দুর্নীতি আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Hossain Bin Delwar ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১:৩২ এএম says : 0
    আমার এমন দেশে বাস করি,যেই দেশের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয় পতিতার, দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চাপা পড়ে যায় অজানা পাতায়, আমার ছেলে মেয়েরা প্রশ্ন করে বাবা মহিলাকে পুলিশ দরছে কেন,
    Total Reply(0) Reply
  • সোয়েব আহমেদ ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১:৩৫ এএম says : 0
    পুলিশ এবং মিডিয়া যা করছে তা খুব বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।করোনার ভয়াবহতা থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার অপকৌশল মাত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আকতার হোসেন মীর ১৭ আগস্ট, ২০২১, ২:৪৪ এএম says : 0
    হায়রে প্রশাসন হায়রে মিড়িয়া ,এর পর কামড়াবি কি নিয়া ।পরীর খবর হবে যখন বাসি ,নিজেদের পকেট ভরতে কার দরজায় দিবি কাশি ।আসল খবর নকল খবর সবই তোদের কাছে সমান,একদিন জাতির কাছে তোরা হবি অপমান ।
    Total Reply(0) Reply
  • Bakul Khan ১৭ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
    Thanks, and it is a really very effective message to the Law enforcement authority, Now their duty to disclose the name of Night King? Because Police said Porimoni is a Night Queen then-Police know who is King of night. Because Police said Porimoni is the night queen then who is the night king? We need details to name of them.
    Total Reply(0) Reply
  • AZIZUL HOQUE ১৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:৩০ এএম says : 0
    পরিমনির সাথে যারা রাত কাটাত তাদেরকে ধরা হোক ........................
    Total Reply(0) Reply
  • Md Saidul Islam ১৭ আগস্ট, ২০২১, ৯:১৫ এএম says : 0
    Thanks, and it is a really very effective message to the Law enforcement authority,
    Total Reply(0) Reply
  • Belal ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১:২৯ পিএম says : 0
    পরীমণি অপরাধি হলে তার বিচার আদালতে হবে। কিন্তু তাতে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার ও চিহ্নিত করা হচ্ছে তা দেশের গোটা নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর নয়কি? যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার নারী; সে দেশে এমন কন্যা-জায়া-জননীর অবমাননা মেনে নেয়া যায় না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরীমণি

১১ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ