পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুহাররম শুধু কেবল ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাসই নয়, বরং মোমিন-মুসলমানের জন্য আল্লাহ-ভীতির অভ্যাস গড়ে তোলারও মোক্ষম সময়। এ সময়ের সদ্ব্যবহার করা সকলেরই উচিত। কেননা, আল্লাহকে ভয় করতেই হবে। আল-কোরআনে এরশাদ হয়েছে : ‘হে মোমিনগণ! তোমরা আল্লাহ-ভীতি অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।’ (সূরা তাওবাহ : আয়াত-১১৯)। সুতরাং অন্তরে আল্লাহর ভয় ধারণ করে পরকালের সম্বল আহরণ করার প্রয়াস মুহাররম মাস হতেই শুরু করতে হবে। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আর প্রত্যেকের উচিত চিন্তা করে দেখা যে পরকালের জন্য সে কী প্রেরণ করেছে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত।’ (সূরা হাশর : আয়াত-১৮)।
এতদপ্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসটি খুবই প্রণিধানযোগ্য। পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ‘হে আয়েশা! ক্ষুদ্র ও নগণ্য গোনাহ থেকেও দূরে থাকবে। কেননা, আল্লাহর দরবারে (কেয়ামতের দিন) সেগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২/৪২৪৩)।
আমরা জানি, মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী এই সীমিত সময়ে আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করা, আল্লাহকে ভয় করা, তার শাস্তি ও আজাব থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা একান্ত দরকার। আল কোরআনে এরশাদ হয়েছে : ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করে এবং আল্লাহকে ভয় করে ও তার শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই সফলকাম।’ (সূরা : নূর, আয়াত-৫২)।
আল্লাহকে ভয় করার সুফল খুবই বিশাল ও বিস্তৃত। এই সুফলের ভাগী না হয়ে মোমিন-মুসলমানদের মৃত্যুবরণ করা উচিত নয়। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ‘হে মোমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যথাযথ ভয়। আর তোমরা মুসলমান হওয়া ছাড়া মৃত্যুবরণ করো না।’ (সূরা-আলে ইমরান : আয়াত ১০২)। অপর এক আয়াতে এরশাদ হয়েছে : ‘নিশ্চয়ই যারা তাদের প্রতিপালকের আল্লাহকে না দেখেই ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান।’ (সূরা মুলক : আয়াত-১২)। এই প্রতিদানের অধিকারী হতে হলে একে অপরকে ভালো কাজে ও তাকওয়ায় সহযোগিতা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে এরশাদ হয়েছে : ‘তোমাদের যেন (কুপ্রবৃত্তি) কখনো প্ররোচিত না করে যে, তোমরা সীমালঙ্ঘন করবে। তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ায় পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর।’ (সূরা- মায়িদাহ : আয়াত-২)।
প্রকৃতপক্ষে ওই সকল লোকই জান্নাতের অধিবাসী হবে, যারা কৃপ্রবৃত্তিকে অবদমন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আল্লাহর ভয়কে হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ‘আর সে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তির প্ররোচনা থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল।; (সূরা নাযিয়াত : আয়াত-৪০-৪১)।
তাই আসুন, আমরা এই সম্মানীত মুহাররম মাসে আল্লাহকে ভয় করে চলি এবং মন্দ কাজ পরিহার করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হই-আমিন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।