রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের অভয়নগরে শিল্প ও বাণিজ্যনগরী খ্যাত নওয়াপাড়া পৌরসভা দেশের একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। সৌন্দর্যমন্ডিতভাবে সাজানো হয়েছে এই পৌরসভার সকল স্থাপনা এবং ফুটপাত। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ জনসাধারনকে যথাযতভাবে ফুটপাত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি।
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের বাইপাস সড়কের বেঙ্গলগেট থেকে শুরু করে তালতলা পর্যন্ত সড়কের একপাশে প্রায় সাত ফুট প্রশস্ত ফুটপাত অবৈধ দখলে। এমনকি ফুটপাত ছেড়ে অনেকে প্রধান সড়কে দোকানপাট বসিয়েছে। ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না। রাস্তা দিয়েও চলাফেরা কঠিন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
প্রফেসরপাড়া সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন বসছে কাঁচাবাজারসহ নানা রকম দোকান।
ফুটপাতের সামান্য অংশও খালি নেই। তাছাড়া নওয়াপাড়া নুরবাগ, স্বাধীনতা চত্ত¡র, প্রফেসারপাড়া মোড়ে অবৈধ দখলের কারণে মাঝে মধ্যেই জ্যাম লেগে থাকে। যেন পুরো বাজার নেমে এসেছে ফুটপাত আর রাস্তায়। নওয়াপাড়া স্বাধীনতা চত্ত¡রের বাসিন্দা মো. রুবেল হোসেন বলেন, সড়ক ও জনপথের এই জায়গায় মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক স্ট্যান্ড থাকায় সারাক্ষণ ফুটপাতে গাড়ি পার্ক করা থাকে। তাছাড়া রাস্তার ওপর থাকে ভ্যান ও বাইসাইকেল। এসকল অবৈধ যানবাহনের কারণে রাস্তা সংকুচিত হওয়ার কারণে এ পথে চলাচল করা দুঃসাধ্য। এ নিয়ে পথচারী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যাওয়া পথচারিদের প্রায়ই দুঘর্টনার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যাওয়া বিনয় কৃষ্ণ পাল বলেন, ফুটপাতের ওপর অবৈধ দোকান হওয়ার কারণে আমাদের রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। এর ফলে মাঝে-মধ্যে আমাদের দুঘর্টনার স্বীকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া করোনা মহামারির এই সময়ে এমনিতেই সরকারি নির্দেশ আছে দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা। কিন্তু এই সংকুচিত ফুটপাতে মানুষ অনিচ্ছা সত্তে¡ও একে অন্যের গায়ে গা ঘেঁষে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই আমরা চাই অতি সত্ত¡র ফুটপাত দখলমুক্ত করা হোক।
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভিলেজ ডাক্তার নিহার কুমার বসু বলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভা এতো টাকা খরচ করে ফুটপাতে টাইলস দেছে অথচ এর সুফল জনগন ভোগ করতে পারছে না। অবিলম্বে এই ফুটপাত দখলমুক্ত করে তা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। তাছাড়া নওয়াপাড়া পৌরসভাকে সৌন্দর্যবর্ধক করতে ফাঁকা স্থানে গাছের চারা রোপন করা হোক। নওয়াপাড়া মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রফেসরপাড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটপাতের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয় প্রায় সারা বছরই। এতে করে জনসাধারনের চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হয়। এর থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
নওয়াপাড়া পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করে দোকানিদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। দুই-ছয় মাস পর পরই অবৈধ দোকান উচ্ছেদও করি। কিন্তু তারা আবার ফিরে আসে। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে করোনার মহাদুর্যোগে আমরা কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। তবে ভবিষ্যৎতে ফুটপাতকে দখলমুক্ত করে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ এসেছে। ইতোমধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনা কিছুটা কমলে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।