Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আশুরার বিলে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামকরণে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশুরার বিলে পর্যটকদের আকর্ষণে নির্মাণ করা হয়েছে আঁকাবাঁকা দৃষ্টিনন্দন শেখ ফজিলাতুন নেছা কাঠের সেতু। ৯০০ ফিট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সেতুটি এখন হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। উত্তরের জনপদের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন।
নবাবগঞ্জের (সাবেক) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপির পরামর্শে এই কাঠের সেতুটি তৈরি হয়। ২০১০ সালে সরকারিভাবে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা হলেও আর্থিক বরাদ্দের অভাবে এই জাতীয় উদ্যানের উন্নয়ন না হওয়ায় পর্যটকদের তেমন কোনো আনাগোনা ছিল না এতোদিন। তবে কাঠের সেতু দেখতে আশপাশের কয়েক জেলা থেকে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়েছে উঠেছে জাতীয় উদ্যানটি। উদ্যানটি হয়ে উঠেছে সব বয়স, সব শ্রেণির মানুষের মিলন মেলা। আশুড়ার বিলকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ২৪ অক্টোবর ২০১০ সালে গেজেট প্রকাশিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৫১৭.৬১ হেক্টর বা ১২৭৮.৪৯ একর বিস্তৃর্ণ এলাকা নিয়ে। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বিশাল শাল বন ছাড়াও আশুড়ার বিল, সীতার কোট বিহার ও বাল্মিকী মনির থান অবস্থিত। জাতীয় উদ্যানকে সুন্দর করে তুলতে আশুড়ার বিল পরিচর্যার উদ্যোগ নেন (সাবেক) ইউএনও মশিউর রহমান। তিনি এই বিল লোকজন নিয়ে পরিস্কার করেছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনমাতানো নান্দনিক এই বিলটিতে বর্ষা মৌসুমে দেশি প্রজাতির মাছ, হারিয়ে যাওয়া জাতীয় শাপলা ফুলের চাষ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পর্যটকেরা এখানে বারবার আসতে চাইবে।
বিলটির গুরুত্ব তুলে ধরতে (সাবেক) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেন একের পর এক উদ্যোগ। শাপলা ফুলের বংশবিস্তারে ফুলের চারা রোপন, আশুড়ার বিলের ধারে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা লাগানো, জাতীয় উদ্যানের শাল গাছে পাখির অভয়াশ্রমের জন্য মাটির হাঁড়ি ঝুলিয়ে পাখির আবাসস্থানের ব্যবস্থাকরণসহ আধুনিকায়নে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ।
পর্যটকদের আকর্ষণে কাঠের আঁকাবাঁকা সেতুটি নির্মাণ থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা। এছাড়াও বাংলাদেশ বিএডিসি অর্থায়নে রাবার মিনি ক্রস ড্যাম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে হেয়ারিং বন্ড রাস্তা নির্মাণ, এলজিইডির অর্থায়নে রাস্তা কার্পেটিং, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ৫০লাখ টাকা বরাদ্দে আধুনিক গণশৌচাগার, পর্যটকদের বসার জন্য ৩টি স্থানে গোল ঘর নির্মাণ, উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল হতে ১২ লাখ টাকা ব্যায়ে আঁকাবাঁকা কাঠের সেতু নির্মাণ, বন বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় উদ্যানে আশুরার বিলের ধারে বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধনসহ বিভিন্ন ফুলের গাছের চারা রোপন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনাজপুরের পক্ষ থেকে উন্নতমানের ল্যাট্রিন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সমস্যাগুলো দেখে সেতুটির সংস্কার করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। কয়েকবার সরেজমিনে সেতুটি দেখে এসেছি। অতি দ্রুত মেরামতসহ সংস্কার করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ