Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ১০:৩০ এএম

নীলফামারীতে বাড়া-কমার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি।
শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার চার সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় ও ৬টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের পানি পরিমাপক (গেজ পাঠক) মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর বেলা ১২টায় তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল তিনটায় আরও তিন সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁয়ে চার সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
এর আগে, চলতি বছরের ৯ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এরপর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলে এক মাসের ব্যবধানে ফের পানি বৃদ্ধি পায়।
তিস্তার পানি কমা-বাড়ার মধ্যে প্রবাহ হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি চর গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার বিপাকে পড়ে। এসব পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, শুক্রবার নদীর পানি বিপৎসীমা অক্রিম করায় ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সাড়ে নয় মিলিমিটার। গত শুক্রবার জেলার গড় বৃষ্টিপাত ছিল সাড়ে ২২ মিলিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, উজানে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের (৪৪) স্লুইস গেট (জলকপাট) খুলে রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ