রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বর্ষাই হচ্ছে ইলিশের ভরা মৌসুম। অথচ উপক‚লীয় জেলা ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে এখনো ইলিশের তেমন একটা দেখা নেই। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাক্সিক্ষত রূপালী ইলিশ। প্রতিদিনই জাল, নৌকা, ট্রলার ও বরফ নিয়ে দল বেঁধে নদীতে ছুটছেন জেলেরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নদী চষে বেড়ালেও মিলছে না কাক্সিক্ষত ইলিশ। ফলে অনেকটা হতাশা নিয়ে তীরে ফিরছেন তারা। জেলেরা জানান, আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। এ ভরা মৌসুমে ভোলার নদ-নদীতে কাক্সিক্ষত রূপালী ইলিশ ধরা পড়ছে না। টানা ৬৫ দিনের অভিযান শেষে ইলিশ পাওয়ার আশায় জেলেরা প্রতিদিন দল বেঁধে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জাল ফেললেও মিলছে না ইলিশ। কিছু পাওয়া গেলেও এতে খরচ পোশায় না বলে জানান জেলেরা। এতে করে অনেক জেলে নদীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে নদীতে না যাওয়ার কারণ হিসেবে জেলেরা বলছেন, মাছ না পেলে নদীতে গিয়ে কোনো লাভ নেই বরং ক্ষতি। তেল ও খাবার খরচ জোগাতো হিমিশিম খেতে হয়। এছাড়া দৈনিক একটা বিশাল অঙ্কেরও খরচ বাড়ে। দাদন নিয়ে জেলেরা নৌকা করে নদীতে যায়। সেখানেও একটা খরচ। এরপর নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের ঝামেলা তো রয়েছেই। অন্যদিকে, প্রতিদিনই মহাজন ও দোকানের দেনা পরিশোধের চাপে বিপাকে পড়তে হচ্ছে জেলেদের।
জেলে সমিতির ভোলা শাখার সভাপতি মো. এরশাদ বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। সে অনুযায়ী নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ পড়ার কথা। কিন্তু, ভোলার নদীতে এখনো কাক্সিক্ষত রূপালী ইলিশ ধরা পড়ছে না। তবে, আশায় রয়েছেন জেলেরা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ইলিশ হচ্ছে গভীর পানির মাছ। যত গভীরে জাল ফেলা যায় ততই মাছ পাওয়া যায়। জেলেদের জালে এখনো তেমন ইলিশ মাছ ধরা না পরলেও সামনে হয়ত তারা ভালো মাছ আহরণ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।